29 C
Dhaka
Wednesday, October 16, 2024

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

- Advertisement -

জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রামীণ টেলিকম থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার দুদকের উপ-পরিচালক মো: গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদি হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি করেন।

সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সচিব ও মহাপরিচালক রেজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে দুদকের কাছে অভিযোগ করা হলে দুদক আইন ও বিধি মোতাবেক অনুসন্ধান করে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যানসহ বোর্ড সদস্যদের বিরুদ্ধে ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের সত্যতা পাওয়ায় ড. ইউনূসসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। 

ড. ইউনূস ছাড়া মামলার বাকি আসামিরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: নাজমুল ইসলাম, পরিচালক মো: আশরাফুল হাসান, পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো: শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো: ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো: কামরুজ্জামান এবং সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও প্রতিনিধি মো: মাইনুল ইসলাম।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও মো: নাজমুল ইসলামসহ গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ডের সদস্যদের উপস্থিতিতে ২০২২ সালের ৯ মে গ্রামীণ টেলিকমের ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্তে ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের গুলশান শাখায় একটা ব্যাংক হিসাব খোলা হয়।

হিসাব খোলার এই সিদ্ধান্ত ওই বছরের ৯ মে হলেও তার একদিন আগেই ব্যাংক হিসাব খোলা হয়। এছাড়া ৮ মে খোলা ব্যাংক হিসাব দেখানো আছে সেটেলমেন্ট এগ্রিমেন্টে, যা বাস্তবে অসম্ভব। এ রকম ভুয়া সেটেলমেন্ট এগ্রিমেন্টের শর্ত অনুযায়ী ও বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক গ্রামীণ টেলিকমের ইউনাইটেড বিভিন্ন সময়ে ব্যাংকটিতে ২৬ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা স্থানান্তর করে। কিন্তু কর্মচারীদের লভ্যাংশ বিতরণের আগেই তাদের প্রাপ্য অর্থ তাদের না জানিয়ে আসামিরা আত্মসাৎ করেন।

গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের পাওনা লভ্যাংশ বিতরণের জন্য গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এবং গ্রামীণ টেলিকমের সাথে সেটেলমেন্ট এগ্রিমেন্ট চুক্তি হয় ২০২২ সালের ২৭ এপ্রিল।

এজাহারে আরো বলা হয়, রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে প্রকৃতপক্ষে হস্তান্তরিত হয়েছে মাত্র এক কোটি টাকা। বাকি ২৫ কোটি ২২ লাখ ছয় হাজার ৭৮০ টাকা গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বোর্ড সদস্যদের সহায়তায় গ্রামীণ টেলিকমের সিবিএ নেতা এবং অ্যাডভোকেটসহ সংশ্লিষ্টরা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ সংবলিত একটি প্রতিবেদন দুদকে পাঠানো হয়। ওই প্রতিবেদনের সূত্র ধরেই ২০২২ সালের ২৮ জুলাই অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তের কথা জানান দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

অভিযোগগুলো ছিল— অনিয়মের মাধ্যমে শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টনের জন্য সংরক্ষিত লভ্যাংশের ৫ শতাংশ অর্থ লোপাট, শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধকালে অবৈধভাবে অ্যাডভোকেট ফি ও অন্যান্য ফির নামে ৬ শতাংশ অর্থ কর্তন, শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলে বরাদ্দ করা সুদসহ ৪৫ কোটি ৫২ লাখ ১৩ হাজার ৬৪৩ টাকা বিতরণ না করে আত্মসাৎ। এছাড়া কোম্পানি থেকে ২ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ।

অভিযোগ অনুসন্ধানে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দুদক। কমিটিতে দুদকের তৎকালীন পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে তদারককারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন— দুদক উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান, সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তার ও নূরে আলম সিদ্দিকী।

অভিযোগ অনুসন্ধানে গত বছরের আগস্টের বিভিন্ন সময়ে এমডিসহ ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। অনুসন্ধান পর্যায়ে বারবার নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূসের প্রসঙ্গ আসে।

গত বছরের ২৩ নভেম্বর দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক প্রশ্নের জবাবে গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাজমুল ইসলাম গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের অর্থ আত্মসাৎ ও মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগের সঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যক্তিগতভাবে কোনো সম্পৃক্ততা নেই। 

ইউনূসকে জিজ্ঞাসাবাদ না করে মামলা করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে দুদকের মহাপরিচালক মো: রেজানুর রহমান বলেন, অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তারা অত্যন্ত দক্ষ। আমাদের আইন বিধিতে যা আছে, সেই অনুসারে যাদের যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই রিপোর্ট দাখিল করেছি।

দুদককে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুদক স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। আইন অনুসারে আমরা অনুসন্ধান, তদন্ত করে থাকি, কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকি। আপনার প্রসঙ্গটা দুদকের কার্যক্রমের সাথে প্রাসঙ্গিক নয়।

ইউনূসসহ মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতার করা হবে কি না জানতে চাইলে তদন্তকারী কর্মকর্তা পরবর্তী কাজ করবেন বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, এটা তদন্তকারী কর্মকর্তা নির্ধারণ করবেন উনাকে কী করতে হবে। এটা তার বিষয়, তিনিই নির্ধারণ করবেন।

- Advertisement -
ফেস দ্যা পিপল লাইভ টক শো উইথ সাইফুর সাগর
Video thumbnail
ঘেরাও প্রতিবাদ, উত্তাল আদালত প্রাঙ্গন।জাতির পিতা বিতর্ক ও জাতীয় দিবসগুলো বাতিল প্রসঙ্গ।
00:00
Video thumbnail
দুর্ভাগ্য, না কি ব্যর্থতা? এখনও অ'প'রাধীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে! সমস্যাটা আসলে কোথায়? মনজুর আহমেদ চৌধুরী
08:01
Video thumbnail
আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও নির্বাচন কাঠামো নিয়ে অবাক করা তথ্য দিলেন ড. সিনহা এম এ সাঈদ
15:16
Video thumbnail
আ. লীগ নেতা জা'মি'ন পায়, মাহমুদুর রহমান জে'লে ছিল কেন? কৃষকদল নেতার বি'ক্ষু'ব্ধ প্রতিক্রিয়া
09:41
Video thumbnail
চব্বিশের বি’প্ল’ব যে কারণে সফল হয়নি: রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধানকে নিয়ে ক’ঠি’ন মন্তব্য দর্শকের
13:49
Video thumbnail
আ. লীগ যতদিন অ'বৈ'ধভাবে ক্ষমতায় ছিল ততদিন এদেরকে নি'ষি'দ্ধ করা দরকার: ভিপি ইব্রাহিম
12:58
Video thumbnail
ড. ইউনূস জনগণের কথা শোনেন না! ড. ইউনূসের যেসব ব্যর্থতার কথা জানালেন ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী
14:45
Video thumbnail
ড. ইউনূস প্রমাণ করছেন তিনি রাজনীতি বুঝেন না! এ কী বললেন ড. সিনহা এম এ সাঈদ?
14:15
Video thumbnail
আইন শৃঙ্খলা ও বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতা কি প্রমাণিত? কোন উপদেষ্টার কি উদ্দেশ্য?
01:30:27
Video thumbnail
পুলিশের সাথে কল রেকর্ড ফাঁ*স! এবার নিজের অবস্থান জানালেন সেই নেতা শেখ রেজওয়ান!
06:33

সর্বশেষ

আমাদের সাথে সংযুক্ত হোন

1,600,000FansLike
428FollowersFollow
1,270,000SubscribersSubscribe