আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এ দেশে জীবন্ত মানুষ ও গাড়ি-ঘোড়া পোড়ালে বা ফিলিস্তিনি শিশুদের ঢিল ছোঁড়ার জবাবে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিবর্ষণে পাখির মতো মানুষ হত্যার বিরুদ্ধে কোনো বিবৃতি দেয় না। সুতরাং তাদের বিবৃতি কাগজের টুকরো ছাড়া কিছু নয়।
শনিবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে তথ্যমন্ত্রী তার দলীয় সাংগঠনিক দায়িত্বভুক্ত রংপুর বিভাগের সংসদ সদস্য, জেলা-উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন।
সম্প্রতি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাদের একটি বিবৃতিতে বিরোধী দলের বিক্ষোভে বলপ্রয়োগ না করার জন্য বলেছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কিন্তু তারা বিরোধী দলকে মানুষের ওপর হামলা, গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানোর বিষয়ে কিছু বলেনি।
এছাড়া এই অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের আগের সেক্রেটারি জেনারেল আইরিন খান ছিলেন তারেকের বেয়াইন, সুতরাং সেই সংগঠন কোনদিকে বলবে তা সহজেই অনুমেয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, এই অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালই মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের জন্য বিবৃতি দিয়েছিল। অর্থাৎ এটি একটি পক্ষপাতদুষ্ট মূল্যহীন সংগঠনে পরিণত হয়েছে।
সম্প্রতি কানাডার আদালত পঞ্চমবারের মতো বিএনপিকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে রায় দিয়েছেন। বিষয়টি উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, রায়ের ব্যাখ্যায় তারা বলেছেন, একটি নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য বিএনপি মানুষের ওপর হামলা, গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানোসহ সন্ত্রাসে লিপ্ত। সে কারণে বিএনপির কোনো সদস্যকে কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া যাবে না। বিএনপির মুখে এ নিয়ে কোনো কথা নেই।
বিএনপির সাম্প্রতিক কর্মসূচির বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপি ক’দিন আগে সরকারকে ধাক্কা দিতে গিয়ে পুলিশ ও আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা-নাশকতা করে শেষে পালিয়ে গেছে। দুর্মুখেরা এখন বিএনপির নাম দিয়েছে ‘বাংলাদেশ নাশকতা পার্টি’।
আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে অসাধ্য সাধন করতে পারে মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গত ২ আগস্ট রংপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসভা, যা পুরো শহরজুড়ে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল, তাতে যে দু’টি বিষয় প্রমাণ হয়েছে, তা হলো- রংপুর আজ অন্যকারো নয়, আওয়ামী লীগের ঘাঁটি এবং আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে অসাধ্য সাধন করতে পারে, অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে। যা রংপুরের জনসমাবেশই তার প্রমাণ। এই জনজোয়ার ধরে রাখতে হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, রংপুর বিভাগের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা সভায় বক্তব্য দেন।