ষষ্ঠ শ্রেণির উপরে মেয়েদের স্কুল পুনরায় চালু করার বিষয়ে ঘোষণা দিয়েছে ইসলামিক আমিরাত অভ আফগানিস্তানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী শের মোহাম্মদ আব্বাস স্তানিকজাই। তার এই মন্তব্য সাধারণ আফগানদের মধ্যে, বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
কাবুলে এক সমাবেশে বক্তৃতাকালে আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী বলেন, মেয়েদের শিক্ষা নিষিদ্ধ করার কোনো ইসলাম-ভিত্তিক কারণ নেই এবং মেয়েদের স্কুল বন্ধ থাকার কোনো অজুহাত নেই। খবর টোলো নিউজ।
জিয়াউর রহমান আসগর নামে অন্য একজন বলেন, “শের মোহাম্মদ আব্বাস স্তানেকজাইয়ের মন্তব্য জাতির মন্তব্য, এবং তাদের প্রতি মনোযোগ দেওয়া খুবই প্রয়োজন।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘোষণা সমর্থন জানিয়ে আহমদ তামিম কাদেরি নামের একজন লিখেছেন, “ইসলামী আমিরাতের সকল নেতারা জনাব স্তানেকজাইয়ের আহ্বানে যোগ দিন এবং মেয়েদের জন্য স্কুলের গেট পুনরায় খুলে দিন।
এদিকে, কিছু রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন স্তানেকজাইয়ের এই বালিকা বিদ্যালয় পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত পুরোটাই মূলত দেশের স্বার্থে নেয়া।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক নজিবুল্লাহ জামি টোলো নিউজকে বলেন, “আপনি দেখেছেন যে স্তানেকজাইয়ের মন্তব্যকে জনগণ স্বাগত জানিয়েছে। আমরা আশা করি যে বিষয়গুলো জাতির উপকারে আসে সেগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এই ইস্যুটি জনগণের জাতীয় স্বার্থ জড়িত এবং এটি সমগ্র জাতিকে উপকৃত করে।”
আফগানিস্তানের আলেম আব্দুল সামাদ কাজীজাদা টোলো নিউজকে বলেন, “নবী মোহাম্মদ (সাঃ) নির্দেশ দিয়েছেন যে শিক্ষা পুরুষ ও মহিলা মুসলমানদের জন্য বাধ্যতামূলক, কোন অংশটি বাধ্যতামূলক তা উল্লেখ না করে। যখন নবী (সাঃ) বলেন যে শিক্ষা বাধ্যতামূলক, তখন আমি মনে করি না যে এই বিষয়ে বিভিন্ন বা বিরোধী মতের কোন স্থান থাকবে।”
এদিকে আফগানিস্তানে বালিকা বিদ্যালয় পুনরায় খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। জাতিসংঘের ডেপুটি বিশেষ দূত মার্কাস পটজেল বলেছেন, মেয়েদের স্কুল বন্ধ রাখার ইসলামী আমিরাতের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে এবং এর রক্ষণাবেক্ষণ করেছেন স্বয়ং দেশটির আমির হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা।