আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী ২৭ তারিখের সমাবেশ ঘিরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোনো সঙ্ঘাতের আশঙ্কা নেই। সংঘাতের কোনো উসকানি আওয়ামী লীগ দেবে না।
তিনি বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে সংঘাত হওয়ার শঙ্কা নেই। আমরা ক্ষমতায় আছি। আমরা কেনো উসকানি দেবো? আমরা বরাবরই বলে আসছি, আমাদের শান্ত থাকতে হবে। সংঘাত হলে আমাদের ক্ষতি। আমরা শন্তিপূর্ণভাবে দেশ চালাতে চাই। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই।
সোমবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির পরিচিতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ওবায়দুল কাদের হুঁশিয়ার করে বলেন, তবে কেউ জনগণের জানমালের ক্ষতিসাধন করলে নিরাপত্তা বিধান করা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকা দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা লাঠিসোটা নিয়ে আসছে। পাশাপাশি এখন মশার কয়েল নিয়ে আসতে হবে। আমাদের তাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। বিরোধীদের সরকার পতনের দিবা স্বপ্ন ভেসে যাবে।
দলীয় নেতাকর্মীদের তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মাঝে মাঝে কষ্ট পান। ভিন্নমতের অনেকের সঙ্গে বাধ্য হয়ে কাজ করতে হয়। আমাদের ছেলে মেয়েরা বিসিএস দেয় না। আমাদের সচিবালয়ে লোক দরকার।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশে এখন সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জনের নাম শেখ হাসিনা। তার কমিটমেন্ট, সততা, নৈতিক সাফল্য, প্রশাসনিক দক্ষতা, সাহস, দৃঢ়তা, শিক্ষা, সবমিলিয়ে তিনি সবার সেরা।
দেশের ৭০ ভাগ লোক নৌকায় ভোট দিতে উদগ্রীব হয়ে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের ৭০ ভাগ লোক শেখ হাসিনার নৌকা মার্কায় ভোট দিতে উদগ্রীব হয়ে আছে। কাজেই সরকার পতনের আন্দোলনে ভীত নয় আওয়ামী লীগ। জনগণই আমাদের শক্তি। কাউকে ভয় পাই না।
ছাত্ররাজনীতি নিয়ে বলেন, ছাত্র রাজনীতির সৌন্দর্য, গ্লামার হারিয়ে গেছে। এর সুদিন ফিরিয়ে আনতে হবে। শিক্ষায় গবেষণার ওপর জোর দিতে হবে।
কাদের বলেন, এই উপ-কমিটিতে যারা আছেন, তারা অন্য কোনো উপ-কমিটিতে থাকতে পারবেন না। জেলা শাখায় থাকতে পারবেন না। শিক্ষা উপ-কমিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কমিটি। ছাত্র সংগঠনের কমিটিগুলোকে দেখতে হবে। ছাত্র রাজনীতিকে আকর্ষণীয় করতে হবে। ছাত্র রাজনীতির সুদিন ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশের জনগণের কাছে আকর্ষণীয় করতে হবে। প্রয়োজনে আরও নেবেন। কর্মী বানাবেন। নেতা দরকার নেই।
সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, আগে ছাত্রনেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের করিডোর দিয়ে হেঁটে গেলে মেয়েরা কমন রুম থেকে বেরিয়ে দেখতো, কোন নেতা যাচ্ছেন। আর এখন ছাত্রনেতারা হেঁটে গেলে কমন রুমে ঢুকে যায়। তার মানে মানুষের মধ্যে ভয় কাজ করছে। তিনজন উঠবে মোটরসাইকেলে, মাথায় হেলমেট নেই। এরা রাজনৈতিক নেতা। ক্ষমতার দাপট দেখায়।
আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবদুল খালেকের সভাপতিত্বে পরিচিতি সভা সঞ্চালনা করেন দলের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপকমিটির সদস্য অধ্যাপক ফায়েকুজ্জামান, অধ্যাপক শফিউল আলম ভূইয়া, অধ্যাপক আজমল হোসেন, অধ্যাপক আবুল কাশেম, এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ, মেহেদী জামিল, শেখ রাসেল, এস এম জাকির হোসাইন প্রমুখ।