30 C
Dhaka
Saturday, July 27, 2024

আলোচনার কেন্দ্রে সরকারি ভবনের এসি বিলাস

ডেস্ক রিপোর্ট:

হঠাৎ করেই আলোচনায় উঠে এসেছে সরকারি ভবনের এসি বিত্তান্ত। একাধিক সরকারি ভবনে ব্যবহার করা হচ্ছে কোটি টাকার এসি। কমপক্ষে সরকারি ১৩টি ভবনে সেন্ট্রাল এসি বা কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র বসানো হয়েছে। সরকার বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে যখন সরব, তখনই সরকারি ভবনে এসির ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অনেকেই।

সরকারি এসব ভবনের মধ্যে সবচেয়ে বিতর্কিত অবস্থায় আছে রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় জাতীয় রাজস্ব ভবন ও পান্থপথের পানি ভবন। রাজস্ব ভবনে ২ হাজার ৫০০ টন এবং পান্থপথের পানি ভবনে ২ হাজার ৪০০ টন সক্ষমতার এসি ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া সচিবালয়ের ভেতরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ভবনে ১ হাজার ৫০০ টন, পুলিশ সদর দপ্তরে (এনেক্স ভবন) ১ হাজার ২০০ টন, বিজ্ঞান জাদুঘরে ১ হাজার টন, জাতীয় আর্কাইভ ভবনে ৬০০ টন এসি ব্যবহৃত হচ্ছে।

অবশ্য, এই চিত্র মোটেই ব্যতিক্রমী কিছু নয়। বরং ঢাকার বেশিরভাগ সরকারি ভবনেই বেশিরভাগে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন চিলার এয়ারকুলার বা ওয়াটার কুলার রয়েছে। চিলার কুলার বসাতে হলে কমপক্ষে ১০০ থেকে ১৫০ টন দিয়ে শুরু করতে হয়। দুয়েকটিতে আছে ভিআরএফ সিস্টেম। এ পদ্ধতির শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় কমপক্ষে ১৮ টন দিয়ে শুরু করতে হয়।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, সরকারের প্রশাসনিক সদর দপ্তর বাংলাদেশ সচিবালয়ে ৩৬টি মন্ত্রণালয়ের জন্য রয়েছে মোট চার হাজার টন ক্ষমতার শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র। অর্থ ভবনেই রয়েছে দেড় হাজার টন যন্ত্র।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সদরদপ্তরেও প্রয়োজনের চেয়ে বেশি শীততপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের ব্যবহার হয় বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, ভবনে প্রায় ৮১০ টন এসির ব্যবহার হয়। সংস্থাটির প্রকৌশল বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, ২৭০ টনের তিনটি এসি রয়েছে বেবিচক ভবনে। যদিও এত এসির প্রয়োজন নেই। পুরো ভবনটি সেন্ট্রাল এসির আওতাধীন।

গতকাল সরকার কর্তৃক মসজিদে এসি ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তোলার পর সবচেয়ে বেশি আলোচনার জন্ম দিয়ে পানি ভবন। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সদর দপ্তর ‘পানি ভবন’-এ বসানো হয়েছে ২ হাজার ৪০০ টন ক্ষমতার শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র। এটি দেশের প্রথম ‘সেন্ট্রাল এসি’ সরকারি অফিস হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। প্রায় ৪ লাখ ২০ হাজার বর্গফুট আয়তনের ১২ তলার পানি ভবনের জন্য প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল গুনতে হচ্ছে ২৫ থেকে ২৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে বছরে এর পরিমাণ দাঁড়াবে ৩ কোটি টাকার মতো।

তবে ইতোমধ্যে এসব অফিসে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হবার নির্দেশনাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার একনেক সভায় সরকারি কর্মকর্তাদের গরমের মাঝে স্যুট-কোট না পরা আর এসি ২৪° তে সীমাবদ্ধ রাখার নির্দেশও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও বেশিরভাগ ভবন সেন্ট্রাল এসি হবার কারণে পুরো ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করাটাও অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে জাবি শিক্ষকের পদত্যাগ

ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষক। আজ...

কেমন ছিল বুধবারের আন্দোলন, যা বললেন ঢাবি শিক্ষার্থী

কোটা সংস্কার আন্দোলনের আরও একটি সহিংসতাময় দিন পার হলো বুধবার। দিনের শুরুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে চলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উচ্ছেদের অভিযান। রাতে বেগম রোকেয়া হল...

কোটা আন্দোলন: ঢাকায় গুলিবিদ্ধ ৩ আন্দোলনকারী, সারাদেশে নিহত ৬  

কোটা সংস্কারের দাবিতে রাজধানীসহ উত্তাল সমগ্র দেশ। এ আন্দোলনে রাজধানীর চানখারপুল এলাকায় স্থানীয় ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে আন্দোলনকারীদের তিন জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিকেল...

সারাদেশে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল আজ

ভারতের সাথে দেশবিরোধী সকল চুক্তি বাতিল এবং চিহ্নিত দূর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে আজ শুক্রবার(৫ জুলাই) সারাদেশে জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন...