আগুন লেগে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার গোবিন্দপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১০টি বসতঘর পুড়ে গেছে। গতকাল সোমবার (৬ মার্চ) বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর সন্ধ্যায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা জানান, উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৪০টি ঘর রয়েছে। এক সারিতে ১০টি করে ঘর। ঘরগুলো পাশাপাশি। সোমবার বিকাল ৫টার পর ফিরোজা বেগমের ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন সোহেল রানা, মো. রফিক, আলমগীর হোসেন, আবুল কাসেম, মো. রণি, মুসলিম হোসেন, রিক্তা খাতুন, মাসুদ রানা ও তহমিনা খাতুনের ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এতে আসবাবপত্র, খাবার, লেপ, কাঁথা এবং নগদ টাকা পুড়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্তদের একজন–ফিরোজা বেগম বলেন, আগুন আমাদের সব শেষ করে দিয়েছে। কী করে যে বেঁচে থাকবো।
সোহেল রানা বলেন, দুই মাস আগে আমি দুই লাখ টাকার গরু বিক্রি করেছি। জমি বন্ধক রাখবো বলে ওই টাকা ঘরে রেখেছিলাম। আগুনে আমার ওই টাকা পুড়ে গেছে। ঘরের কিছুই পুড়তে বাকি নেই। পরণের কাপড় ছাড়া আমাদের আর কিছুই নেই। একেবারেই শেষ হয়ে গেছি।
মনিরামপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা প্রণব কুমার বিশ্বাস বলেন, আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট। তাদের চেষ্টায় সন্ধ্যা ৬টা ৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত।
তিনি বলেন, একই সারিতে থাকা ১০টি ঘর হওয়ায় ভেতরের সব কিছু আগুনে পুড়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। তবে এতে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
আগুনে ১০টি পরিবারের ঘরের সব কিছু পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার প্রতি তাৎক্ষণিকভাবে নগদ ২ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়েছে বলে জানান মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন। তিনি বলেন, এ ছাড়া ১০টি পরিবারকে ৩০টি কম্বল দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সম্ভব সব ধরনের সহায়তা করা হবে।