ক্রিমিয়া ব্রিজ ধ্বংস্বের একদিন পরেই এবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে মুহুর্মুহু আক্রমণ শানাচ্ছে রাশিয়ান বাহিনী। ধ্বংস হয়েছে কিয়েভে অবস্থিত জার্মানির দূতাবাস।
আজ (সোমবার) ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলাকে গত শনিবার রাশিয়ার একটি মূল সেতুতে ইউক্রেনের হামলার প্রতিশোধ বলে আখ্যা দিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন।
সেতু বিস্ফোরণের ঘটনার জন্য পুতিন ইউক্রেনকে দায়ী করছে এবং এ হামলাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ আখ্যা দিয়ে এর প্রতিক্রিয়াস্বরুপ আরো হামলার হুমকি দিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, সেতুটি বিস্ফোরিত হওয়ায় রাশিয়া এবং অধিকৃত ক্রিমিয়ার মধ্যে একমাত্র সংযোগটি বাজেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও বিস্ফোরিত সেতুটি যুদ্ধের জন্য সামরিক বাহিনী সরবরাহের প্রধান পথ ছিল।
এদিকে রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের শহরগুলোতে সোমবারের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা যুদ্ধের তীব্রতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে। গত কয়েকমাসের মধ্যে এই প্রথম কিয়েভকে লক্ষ্য করে হামলা করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের মতে সারাদেশে ১১ জন নিহত হয়েছে।
হামলা শুরু হবার পরপরই বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো ইউক্রেনের কাছে তার সৈন্যদের রুশ বাহিনীর সাথে তার সৈন্যদের মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছেন। তার দাবি, ইউক্রেন এবং ন্যাটো তার দেশে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে যদিও তিনি কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি।
ইউক্রেনে এই ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ‘গভীরভাবে হতবাক’ বলে জানিয়েছেন তাঁর মুখপাত্র।
এক বিবৃতিতে স্টেফান ডুজারিক বলেন, ‘বেসামরিক এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং কয়েক ডজন লোক আহত ও নিহত হয়েছে এই হামলায়’। তিনি আরো বলেন, ‘বরাবরের মতোই বেসামরিক লোকেরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতির স্বীকার’।
অন্যদিকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা আশা করছি শীঘ্রই ইউক্রেনের এই সহিংসতা কমবে। ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, চীন কখনোই এই আক্রমণ সমর্থন করে না। রাশিয়ার ঐতিহাসিক মিত্র দেশ চীন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মস্কোর সাথে বাণিজ্য ও অন্যান্য সম্পর্ক বৃদ্ধি করেছে।