ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর সামরিক অভিযানে প্রায় ধংসযজ্ঞে পরিনত হয়েছে দেশটি৷ তবে এই যুদ্ধ নিয়ে কোনো ধরনের অনুশোচনায় ভুগছেন না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
শুক্রবার(১৪ অক্টোবর) কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় একটি সম্মেলনে যোগ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমনটা জানান রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। বার্তা সংস্থা আল জাজিরার প্রতিবেদন সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়৷
পুতিনের কাছে প্রশ্ন রাখা হয় ইউক্রেনে হামলা করায় এবং বর্তমান পরিস্থিতির জন্য তিনি অনুতপ্ত কিনা এবং তার মধ্যে কোনো অনুশোচনা কাজ করে কিনা? জবাবে পুতিন বলেন, ‘না’। ইউক্রেনকে ধ্বংস করা রাশিয়ার লক্ষ্য ছিল না। তিনি বলেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ৩ লাখ সেনা জড়ো করার যে ঘোষণা দিয়েছিলেন সেটি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।
এর আগে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তিন লাখ সেনা জড়ো করার যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল এরমধ্যে ২ লাখ ২২ হাজার সেনা জড়ো সম্পন্ন হয়েছে। এরমধ্যে ৩৩ হাজার ইতিমধ্যে সামরিক ইউনিটগুলোতে গেছে। আর ১৬ হাজার ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযানে অংশ নিতে গেছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, এখন বড় হামলা করার কোনো প্রয়োজন নেই। এখন আরও অন্য কাজ আছে এবং পরবর্তীতে এটি পরিস্কার করা হবে। আমরা ইউক্রেনকে ধ্বংস করার কর্মপরিকল্পনা ঠিক করিনি।
ন্যাটোতে ইউক্রেনের যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে পুতিন বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে ন্যাটোর সরাসরি দ্বন্দ্ব ‘বিশ্বব্যাপী বিপর্যয়’ ডেকে আনবে। আমি মনে করি যারা এগুলো বলছে তারা যথেষ্ট বুদ্ধিমান এমন কোনো পদক্ষেপ না নিতে।
জার্মানির ন্যাটোতে গুরুত্ব দেওয়ার ব্যাপারে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, জার্মানি নিজেদের জাতীয় স্বার্থ না দেখে ন্যাটোকে প্রাধান্য দিচ্ছে। জার্মানি চাইলে নর্ড স্ট্রিম-২ পাইপ লাইনের অক্ষত অংশ দিয়ে গ্যাস পাঠাতে পারে রাশিয়া। কিন্তু এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া রাশিয়ার কাজ না।
এদিকে শস্যচুক্তি ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করার বিষয়ে
পুতিন বলেন, ইউক্রেনের শস্য বহিঃবিশ্বে যাওয়ার জন্য যে করিডোর তৈরি করা হয়েছে সেটি যদি ‘সন্ত্রাসবাদের’ কাজে ব্যবহার করা হয় তাহলে সেটি বন্ধ করে দেওয়া উচিত। বাইডেনের সঙ্গে কথা বলার কোনো প্রয়োজন নেই।