দেশের মানুষ মনে করে ইভিএম হচ্ছে ভোট চুরির আধুনিক মেশিন। তারা এটিকে বিশ্বাস করে না, এর মাধ্যমে ভোটও দিতে চায় না বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে একমাত্র আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্র কয়েকটি রাজনৈতিক দল ছাড়া সবাই এর বিপক্ষে মত দিয়েছে। তারপরও নির্বাচন কমিশন ইভিএম’এ ভোট নিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কাকরাইলে জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় মৎস্যজীবী পার্টির সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জিএম কাদের এসব কথা বলেন৷
জিএম কাদের বলেন,অচল-অকেজো মেশিন সচল করতে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে। দেশের মানুষ এই উদ্যোগকে সন্দেহের চোখে দেখছে। ইভিএম’র মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। ইভিএম এর ওপর দেশের ৯০ ভাগ মানুষের আস্থা নেই। আমরা কারচুপির নির্বাচন চাই না। কারচুপির নির্বাচনে আমরা জিততেও চাই না।
তিনি বলেন, আমরা চাই মানুষের ভোটাধিকার। আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে। ২০১৮ সালে ৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দেড় লাখ ইভিএম কিনেছিল নির্বাচন কমিশন। গত ৪ মাস ধরে টানা কিউসি করে ৪০ হাজার ইভিএমে ত্রুটি পাওয়া গেছে। মাত্র ১ লাখ ১০ হাজার ইভিএম দিয়ে ভোট গ্রহণ সম্ভব।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, সচল ইভিএম দিয়ে ভোট গ্রহণেই নানা বিড়ম্বনায় পড়ছেন সাধারণ ভোটাররা। আঙুলের ছাপ মেলে না, অকেজো হয়ে পড়াসহ নানা সমস্যা রয়েছে। এমন বাস্তবতায় অকেজো ইভিএম নির্বাচনের জন্য তৈরি করা দুরভিসন্ধিমুলক।
জিএম কাদের আরও বলেন, আমরা মনে করি, অকেজো ইভিএম’এ নির্বাচনই বিপর্যস্ত হবে। মেশিনের সমস্যায় অনেক সময় নিজস্ব লোক দিয়ে হাতে লেখা ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের মানুষ মনে করছে সরকার ভোটের ফলাফল পাল্টে দিতে ইভিএম দিয়ে নির্বাচন করতে চাচ্ছে।
মতবিনিময় সভায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মুজিবুল হক চুন্নুর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু প্রমুখ।