পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ওপর দেশটির নির্বাচন কমিশনের দেয়া পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞায় ফুঁসে উঠেছে পিটিআইয়ের কর্মী-সমর্থকরা। ইসলামাবাদ, লাহোর, পেশাওয়ার, করাচিতে বিক্ষোভ করেন পিটিআই সমর্থকরা। পুরুষের পাশাপাশি বিক্ষোভে অংশ নিয়ে নারীরাও।
বিক্ষোভ ও সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে দেশটির বিভিন্ন শহর। এ সময় আটক করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। কোন শহরে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয় আবার কোথাও রাস্তা দখল করে চলছে জ্বালাও-পোড়াও।
মূলত তোষাখানা মামলায় ইমরান খানের উপরে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছেন ইমরান খান। এরমধ্যে চলতি মাসের শেষ দিকে পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় লংমার্চের ঘোষণা দিয়েছেন ইমরান খান।
লং মার্চের ঘোষণা দিয়ে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, আন্দোলনকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তবে এখন আর কোন বিক্ষোভ না করে একবারে চলতি মাসের শেষ দিকে সমর্থকদের নিয়ে পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় লংমার্চ করবো আমরা।
এর আগে শুক্রবার তোষাখানা দূর্নীতির মামলায় ভূয়া জবানবন্দির অভিযোগে ইমরানখানকে ৫ বছরের জন্য নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করে ইসিপি।
আইনজীবীরা বলছেন, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তেই গড়মিল রয়েছে, তাই মামলা উচ্চ আদালতে গেলে রায় যাবে ইমরান খানের পক্ষেই।
আইনজীবি বলেন, কমিশনের অযৌত্তিক সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এবং কমিশনের সিদ্ধান্তে প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে যাবো।