ইরানের চলমান হিজাব বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেয়া দ্বিতীয় আরেক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত। এক সপ্তাহ আগেই এই আন্দোলনের সূত্র ধরে প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মজিদরেজা রাহনাভার্ড নামের ঐ ব্যক্তি দুইজন নিরাপত্তা কর্মীকে হত্যায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন বলে দেশটির বিচার বিভাগের বার্তা সংস্থা মিজান সূত্রে জানানো হয়। এছাড়া ‘মোহারেবেহ’ বা আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার দায়েও মজিদরেজাকে অভিযুক্ত করা হয়। ইরানের শরিয়া আইনে এই অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।
এক সপ্তাহ আগে মোহসেন শেকারি নামে ২৩ বছরের এক ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছিল। অ্যাক্টিভিস্টদের দাবি, শেকারির উপর অত্যাচার চালিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে।
শেকারির ফাঁসি নিয়ে ইরানের সমালোচনায় মুখর হয়েছিল আন্তর্জাতিক বিশ্ব। সোমবার (১২ ডিসেম্বর) ইরানের পরিস্থিতি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক করার কথা। সেখানে ইরানের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হতে পারে।
ইরানে নীতি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর মাহশা আমিনির মৃত্যুর পর বিক্ষোভ চলছে। ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর ইরানে সংঘটিত বড় বিক্ষোভগুলোর মধ্যে এটি একটি বলে ধরা হচ্ছে।
ইরান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিক্ষোভের পেছনে বিদেশি শক্তিগুলোর হাত আছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো জানিয়েছে, বিক্ষোভে প্রায় ৫০০ জন মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত প্রায় ১৮ হাজার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে কমপক্ষে ১১ জনের বিরুদ্ধে আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার অভিযোগ আনা হয়েছে।