ইরানের পাঁচটি প্রদেশের ৩০ টিরও বেশি স্কুলে ফের বিষাক্ত গ্যাস হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অসুস্থ হয়ে পড়ায় কয়েক ডজন স্কুল ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় দেশজুড়েই বিক্ষোভ শুরু করেছেন অভিভাবকেরা।
স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে শনিবার আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা বিবিসির এক প্রতিবেদনে এমনটা জানানো হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু জানাতে পারেনি। মেয়েদের স্কুল বন্ধ করতেই দুর্বৃত্তরা দেশজুড়ে বিষাক্ত গ্যাস হামলা চালাচ্ছে বলে ধারণা দেশটির সরকারের।
ইরানের রাজধানী তেহরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় কওম শহরের গত তিন মাস ধরে শত শত স্কুলছাত্রী শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাও নিতে হয়েছে অনেক ছাত্রীকে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, গত বুধবার ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর আরদাবিলের সাতটি ও রাজধানী তেহরানের অন্তত তিনটি বালিকা বিদ্যালয়কে বিষাক্ত গ্যাস হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়। কয়েক ডজন ছাত্রীকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে তাদের সবার অবস্থা ভালো রয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
গ্যাস হামলার ঘটনার প্রতিবাদে ইরানজুড়ে রাস্তায় নেমে এসেছেন অভিভাবকরা। স্কুলের সামনে জড়ো হয়েছেন অভিভাবকরা এবং কিছু ছাত্রীকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেন, তিনি গোয়েন্দামন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিষ প্রয়োগের ঘটনার দিকে নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন। ছাত্রীদের ওপর গ্যাস হামলার ঘটনাকে ‘জনসাধারণের মাঝে ভীতি ও হতাশা তৈরি করার জন্য শত্রুদের ষড়যন্ত্র’ বলেই উল্লেখ করেন তিনি।