যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার কথা ভাবছে। এ বিষয়ে শিগগিরই বিস্তারিত জানানো হবে বলে বার্তা সংস্থা সিএনএনকে বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
সিএনএনকে ব্লিঙ্কেন বলেন, ইসরায়েলিরা যে সুনির্দিষ্ট অতিরিক্ত অনুরোধ করেছে তা দেখছি। আমি মনে করি দ্রুতই আপনারা এটি সম্পর্কে আরও জানতে পারবেন। রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের নির্দেশ ছিল হামাসের আক্রমণ মোকাবিলা করার জন্য এই মুহূর্তে ইসরাইলের যা যা প্রয়োজন তা নিশ্চিত করা।
নিখোঁজ আমেরিকানদের রিপোর্ট যাচাই করার জন্য কর্তৃপক্ষ নিরলস কাজ করছে বলেও জানান মার্কিন শীর্ষ কূটনীতিক।
ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা হামাসের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।
১৯৭৩ সালের ইয়োম কিপুর যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো দেশটির মন্ত্রিসভায় আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধের জন্য ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
রোববার টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে আরও বলা হয়, গাজা থেকে সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে ইসরায়েলের ওপর এ যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে বলা হয়, হামাস-ইসরায়েল সংঘাতের পর ৬০০ জনের বেশি ইসরায়েলি নিহত এবং ২ হাজারের বেশি আহত হওয়ার ঘটনায় যুদ্ধের অনুমতি দিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা।
ইসরায়েলের সরকারি প্রেস অফিসের বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, দেশটির মৌলিক আইনের ৪০ ধারা অনুযায়ী যুদ্ধ ঘোষণাটি নেওয়া হয়েছে।
অলিখিত সংবিধানের দেশ ইসরায়েল। তবে এর ১৩টি মৌলিক আইন একই ধরনের কাজ করে।