সরকারের উন্নয়ন দেখতে না পেলে বিরোধীদের চোখের ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিরোধীদলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার এত উন্নয়ন করেছে, অথচ আমাদের বিরোধীদের এই উন্নয়ন চোখে পড়ে না। তাদের হয় চোখ নষ্ট; যদি চোখ নষ্ট হয় চোখের ডাক্তার দেখাতে পারেন।
তিনি বলেন, আমরা খুব ভালো আই ইনস্টিটিউট করে দিয়েছি। সেখানে চোখ দেখালে আমার মনে হয় তাহলে তারা দেখতে পাবেন। আর কেউ যদি চোখ থাকতেও অন্ধ হয় তাহলে আমাদের কিছু করার নেই।
আজ শনিবার (২৬ নভেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু টানেলের দক্ষিণ টিউবের পূর্তকাজের সমাপনী উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয় বিরোধীরা চোখ থাকতেও অন্ধ। তারা দেখেও না দেখার ভান করে। কারণ নিজেরা কিছু করতেও পারেনি, ভবিষ্যতে কিছু করতেও পারবে না, দেশকে দিতেও পারবে না। হ্যাঁ! ক্ষমতায় বসে নিজেরা খেতে পারবে, নিতে পারবে, অর্থ চোরাচালান করতে পারবে। তারা মানুষের কল্যাণে কাজ করেনি ভবিষ্যতেও করবে না। এই হলো বাস্তবতা।
দেশের স্বল্প ও সীমিত আয়ের মানুষদের জন্য সরকারের নেয়া উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি চাই আমাদের দেশটা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এগিয়ে যাক। করোনাকালীন এবং যুদ্ধকালীন খাদ্যশস্যের যে দাম বেড়েছে সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা এক কোটি মানুষকে টিসিবির মাধ্যমে বিশেষ কার্ড দিচ্ছি। যাতে তারা স্বল্প মূল্যে খাদ্য ক্রয় করতে পারেন।
তিনি বলেন, প্রায় ৫০ লাখ নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য ১৫ টাকায় চাল পাওয়ার ব্যবস্থা করেছি। আর যারা একেবারেই অসহায়, কাজ করতে পারেন না- তাদের আমরা প্রতিমাসে বিনা পয়সায় ৩০ কেজি করে চাল দিচ্ছি। অর্থাৎ খাদ্যে যেন কেউ কষ্ট না পায় তার জন্য আমরা বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছি।
সরকার প্রধান বলেন, করোনাকালীন সময় বিশেষ প্রণোদেনা দিয়েছি। যাতে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা-বাণিজ্য চালু রাখতে পারে, শিল্প কল-কারখানা চালু করাতে পারে, শ্রমিকের বেতন দিতে পারে। কৃষকদের ভর্তুকি দিচ্ছি। কৃষক যেন কৃষিকাজ স্বাচ্ছন্দ্য করতে পারে। তাদের জন্য অধিক মূল্যে সার কিনেও আমরা কম দামে সার, বীজ, কৃষি উপকরণ বিতরণ করে যাচ্ছি। ধান কাটায় তাদের পাশে থেকে- আমাদের ছাত্রসমাজ, যুবসমাজ তাদের সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছে। উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য আমরা ব্যাপক কাজ করে যাচ্ছি।