বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শেরে-বাংলা হলের ক্যান্টিন পরিচালক সুমন ও তার কর্মচারীরা পালিয়ে যাওয়ায় হলের ক্যান্টিন আপাতত বন্ধ রয়েছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সকালে হলের ক্যান্টিনে গেলে শিক্ষার্থীরা ক্যান্টিন বন্ধ দেখেন। পরবর্তীতে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের ক্যান্টিন ও বাহিরের খাবার হোটেল থেকে নাস্তা করেন।
আবাসিক শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার রাতের খাবার পরিবেশনের পর আজ সকাল থেকেই খোঁজ নেই সুমন ও তার কর্মচারীদের। তারা হলের ক্যান্টিন পরিচালনার দায়িত্বে তিনি নতুন ছিলেন। ক্যান্টিনে দায়িত্বরত বাবুর্চি মো. বেলাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ক্যান্টিনের বাবুর্চি বেলাল জানান, হলের ক্যান্টিন চালাতে গিয়ে লোকসান ও ঋণের সম্মুখীন হয় সুমন। আজ মাসের শেষদিন ক্যান্টিনে আয়-ব্যায়ের হিসাব করা হবে, যথাযথ হিসাব দিতে পারবে না বলে এবং ক্যান্টিনের গ্যাস মালিকদের ও অন্যান্যদের টাকা পরিশোধ করার চাপ সহ্য করতে না পেরেই সে ও তার লোকেরা পালিয়েছে।
দুপুরের ক্যান্টিন চলবে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, সুমন ও তার লোকেরা পালিয়ে যাওয়ার কারণে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় রান্নার জন্য তরকারি ও গ্যাস কেনা সম্ভব না। এই মূহুর্তে রান্নার কাজে হাত দিতে পারছিনা। আপাতত ক্যান্টিন বন্ধ থাকবে।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থী রিফাত হোসেন জানান,
সকালে ঘুম থেকে উঠার পর ক্যান্টিনে গিয়ে দেখতে পাই, ক্যান্টিনের পরিচালক ও তার লোকেরা পালিয়েছে, তাই ক্যান্টিন বন্ধ থাকবে। এ অবস্থায়, আমাদের অন্য হলের ক্যান্টিন আর বাইরের হোটেলে থেকে খাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নাই। এ ভোগান্তি দূর করার জন্য কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে শেরে বাংলা হলের প্রভোস্ট আবু জাফর মিয়া বলেন, ঘটনা সম্পর্কে আমি অবগত ছিলাম না। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্তে দ্রুতই বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে।