গত ২৬ মার্চ দৈনিক প্রথম আলোয় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক’ দাবি করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, আমরা প্রতিবাদে নেমেছি। প্রতিবাদ করতেই থাকবো এবং ষড়যন্ত্রের বিষদাঁত আমরা ভেঙে দেবো।
বুধবার (২৯ মার্চ) প্রথম আলোর ওই প্রতিবেদনের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মহিলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই পত্রিকাটি (প্রথম আলো) সব সময় আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, যে খবরটি প্রকাশ করা হয়েছে সেই প্রতিবেদক ও নির্বাহী সম্পাদক খবরটি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এর মাধ্যমে তারা প্রমাণ করেছেন খবরটি ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যমূলক, ষড়যন্ত্রমূলক।
আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য আরও বলেন, সাংবাদিকতা নৈতিকতার সঙ্গে পরিপূর্ণ। সাংবাদিকতার সঙ্গে নৈতিকতাও রক্ষা করতে হবে। সাংবাদিকতার সঙ্গে অপসংবাদিকতা প্রমাণিত হলে আমরাও ছেড়ে দেবো না। আমাদের স্বাধীনতার ৫২ বছর দেশবাসী যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালন করছিল। তখন দেশের একটি জাতীয় দৈনিকের (প্রথম আলো) একটি বিশেষ সংবাদ দেশবাসীর দৃষ্টিগোচর হয়।
স্বাধীনতার এত বছরে এসেও মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে, হলুদ সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করতে হচ্ছে। এই পবিত্র মাহে রমজানেও প্রতিবাদ করতে হচ্ছে স্বাধীনতাবিরোধী সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে।
প্রতিবেদনটিকে ১৯৭৪ সালে ইত্তেফাকে প্রকাশিত কুড়িগ্রামের চিলমারির বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বাসন্তী’র ঘটনার সঙ্গে তুলনা করে নানক বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা ‘৭৪ সালে দেশের পরিস্থিতি বোঝাতে জাল গায়ে দিয়ে বাসন্তীর ছবি ছাপায়। সারা বিশ্বকে একটি বার্তা দিয়েছিল এবং আমার স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেছিল। সেই ষড়যন্ত্র এখনও চলমান রয়েছে। গত ২৬ মার্চ কী কারণে সবুজকে জাকিরের নাম দিয়ে সংবাদ ছাপা হলো? সেই সংবাদ তারা কেন এবং কী উদ্দেশ্যে ছাপালো? এই পত্রিকাটি (প্রথম আলো) সব সময় আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র করে কোনও লাভ নেই। স্বাধীনতার ৫২ বছরে এসে যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়ন-অগ্রগতি ও শান্তির ধারায় এগিয়ে যাচ্ছে, তখন ষড়যন্ত্র করে আর কোনও লাভ হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের উন্নয়ন অগ্রগতির এই ধারাকে কোনোভাবেই ব্যাহত করা যাবে না।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি, সাধারণ সম্পাদক শবনম জাহান শিলাসহ সংগঠনে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের নেত্রীরা।