শিবলী রহমান শিপু,সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি ও সকল নেতাকর্মীদের মুক্তি দিয়ে সরকারকে পদত্যাগ এবং নির্দলীয় ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে।
শুক্রবার (১৬ জুন) বিকেল ৩ টায় সিরাজগঞ্জে ইসলামিয়া সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত এক গণসমাবেশ তিনি এসব কথা জানান। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলার’ রায়ের প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির উদ্যোগে এ গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রুমানা মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চুর সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ সরকার সব টাকা বিদেশে পাচার করে দেশকে শূন্য করে দিয়েছে, জনগণ এই সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, এতো বিদ্যুৎ বিদ্যুৎ করেছেন সে বিদ্যুৎ গেলো কোথায়? এতো উন্নয়নের নামে লুটপাট করে দেশকে দেউলিয়া করেছেন।
এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) ও এডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, এই সরকার বিরোধী দলকে দমনের জন্য বিচার বিভাগ এবং প্রশাসনকে ব্যবহার করছে, এবার সরকারের যে কোন ষড়যন্ত্র বিএনপি বাস্তবায়ন করতে দিবেনা।
বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক আমীরুল ইসলাম খান আলীম বলেন, এ সরকার ভোটবিহীন অবৈধ নির্বাচন করে জনগণের অধিকার হরণ করেছে এবং আন্তর্জাতিকভাবে দেশের সুনাম ক্ষুন্ন করেছে, তাই এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোন অধিকার নেই।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম, কেন্দ্রীয় সদস্য সিমকি ইমাম চৌধুরী, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয় সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, সাবেক সংসদ সদস্য (সিরাজগঞ্জ-৪) এম আকবর আলী, সাবেক সংসদ সদস্য (সিরাজগঞ্জ-৩) মান্নান তালুকদার, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, যুগ্ম সম্পাদক শামীম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ সুইট, মির্জা মোস্তফা জামানসহ জেলা, উপজেলার সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।