বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাদের (আওয়ামী লীগের) একটাই উদ্দেশ্য মনমতো নির্বাচন আয়োজন। এই সরকার নির্বাচন নিয়ে আবার পাতানো খেলা খেলতে চায়। আমরা আর পাতানো খেলা খেলতে দিব না।
তিনি বলেন, আগামী ১৮ তারিখে আমাদের পরবর্তী আন্দোলনের ঘোষণা দিব। আমরা রাজপথে নেমেছি, এই সরকারের পতন ঘটিয়েই আমরা ফিরে যাব।
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগরীর লালন শাহ মুক্তমঞ্চ চত্বরে রাজশাহী বিভাগের ‘তারুণ্যের রোডমার্চে’ শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের রাজশাহী বিভাগের আয়োজনে ‘তারুণ্যের এই রোডমার্চ’ অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য নতুন একটি সংগ্রাম শুরু করেছে। সেই সংগ্রামকে রোডমার্চের মধ্য দিয়ে মানুষকে জাগিয়ে তোলা এবং মানুষকে একদফার আন্দোলনে সম্পৃক্ত করা।
সারাদেশের মানুষ আজ বলে, আর কতদিন? আমরা দুটি জিনিস চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি আর শেখ হাসিনার পদত্যাগ। এ সরকারকে মানুষ না বলে দিয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখনো সময় আছে দ্রুত পদত্যাগ করেন, সংসদ বিলুপ্ত করেন, নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দেন। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে ক্ষমতা বুঝিয়ে দেন। নাহলে এ দেশের মানুষ জানেন, কিভাবে ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী সরকারের বিদায় ঘণ্টা বাজাতে রাস্তায় নামাতে হয়।
আজ বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রশ্ন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-স্বার্বভৌমত্বের প্রশ্ন। আজকে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আসবে কি আসবে না তার প্রশ্ন। আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে টিকে থাকতে পারব কিনা জাতির সামনে আজ সেই প্রশ্ন। আওয়ামী লীগের এই সরকার অন্যায়, অবৈধ ও বেআইনিভাবে ১৭ বছর ধরে জগদ্দর পাথরের মতো বসে আছে। আমাদের সব অর্জন তারা ধ্বংস করে দিয়েছে।
ফখরুল বলেন, ১৯৭১ সালে গণতন্ত্রের জন্য স্বাধীনতাযুদ্ধ করেছিলাম তাকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। আমরা ’৯০ সালে স্বৈরাচারকে বিদায় করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলাম সেটাকেও তারা আজকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এই সরকার অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। সবচেয়ে ভয়ংকর যেটি করেছে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে ১০ বছর সাজা দিয়ে তাকে আটক করে রেখেছে। আজ তিনি অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
এ সময় চারঘাটের ওসির সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এলাকার ওসি বলেছেন তাকে নির্বাচন করার জন্য সেখানে নিয়ে আসা হয়েছে। সারা দেশেই এই পরিকল্পনা। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস বাংলাদেশের মানুষ সেই পরিকল্পনাকে নস্যাৎ করে দিবে। মানুষ জেগে উঠেছে।