ঢাবি প্রতিনিধি: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিলকে একতরফা ও অবৈধ ঘোষণা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি-জামাতের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালকে সমর্থন করে এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রশাসনিক ও ডাকসু ভবনসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনায় তালা লাগিয়েছে ঢাবি ছাত্রদলের একাংশ। এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফটকে আরও কয়েক দফায় এ কাজ করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) ভোর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান খন্দকার অনিকের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
এদিন সকালে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের মূল ফটক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) ভবন ও মধুর ক্যান্টিনের ফটকে তালা লাগানো। এতে প্রতিটি তালার সঙ্গে একটি করে ব্যানারও টাঙিয়ে রাখা দেয়া হয়। যদিও অফিস টাইম শুরুর আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা এসব তালা ভেঙ্গে ফেলেন এবং ব্যনারগুলোও অপসারণ করে ফেলেন।
এদিকে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি যুক্ত করা ব্যানারগুলো “রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ চলছে-সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখিত”, “এক দফা দাবিতে দেশব্যপী হরতাল চলছে”-ইত্যাদি সম্বলিত লেখা দেখতে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে তালা লাগানো কর্মসূচির নেতৃত্বদানকারী ছাত্রদল নেতা আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক বলেন, আমরা আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ও ডাকসু ভবনে তালা লাগিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এই বার্তা দিতে চাই যে, আওয়ামীলীগের রক্ষাকবজ না হয়ে নিরাপদ, শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা করুন। ছাত্রলীগবান্ধব প্রশাসন না হয়ে রাজনৈতিক সহাবস্থান নিশ্চিত করুন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থে প্রকৃত অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করুন।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনেকবার বলেছি যে, এই হরতাল অবরোধে ক্লাস পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলবেন না। কিন্তু, তারা তা না করে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ক্লাস পরীক্ষা চালু রেখেছে। এজন্যই, আমাদের এসব কর্মসূচি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, তালা কিজন্য লাগায়, এটাই আমি আসলে বুঝিনা। এটা কোন কালচার হতে পারে না। শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে চায়, সবাই ক্লাস করতে চায়। এখন এসব তালা লাগিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা এগুলো কি আটকানো সম্ভব? একটা সময় সবাই বুঝতে পারত যে, এটা একটা সামগ্রিক অবস্থা, এটা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া দরকার। তখন তাদের পুরো গ্রুপই পরীক্ষা দিতে আসতো না। এখন তো আসলে সেই সময়টা নেই।