ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির এবং চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করিমের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
বিএফআইইউ থেকে তার অ্যাকাউন্টের হিসাব তলব করে ব্যাংকগুলোতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠি পাওয়ার ৫ কর্মদিবসের মধ্যে অ্যাকাউন্টে লেনদেনসহ যাবতীয় তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।
সরকারি এ সংস্থার পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, কোনো ব্যাংকে ফয়জুল করিমের নামে অ্যাকাউন্ট থাকলে তা জানাতে হবে। অ্যাকাউন্টে শুরু থেকে হালনাগাদ লেনদেন বিবরণী, জমা স্থিতি, কেওয়াইসিসহ বিভিন্ন তথ্য দিতে হবে। কোনো অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে থাকলে সে তথ্যও জানাতে হবে।
তবে ঠিক কী কারণে চরমোনাই পীরের অ্যাকাউন্ট নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে সে বিষয়ে বিএফআইইউর চিঠিতে কিছুই বলা হয়নি।
এ নিয়ে এ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ বক্তব্যও দিতে চাননি।
বিএফআইইউ নামক সরকারি সংস্থাটি
সাধারণত কারও বিরুদ্ধে অর্থপাচার, মানি লন্ডারিংসহ কোনো অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ পেলেই তার ব্যাংক হিসাব তলব করে থাকে। আবার অনেক সময় আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী অথবা অন্য সরকারি সংস্থার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতেও তথ্য চাওয়া হয়।
বিএফআইউর চিঠিতে তার জন্ম তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ১৯৭২ সালের ৩ জানুয়ারি। তার পিতা প্রয়াত সৈয়দমো. ফজলুল করিম এবং মা মোসাম্মৎ আলমতাজ বেগম। তার পিতা ফজুলুল করিম ছিলেন মূলত চরমোনাই পীর।
যাত্রাবাড়ীর গেন্ডারিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীণ একটি ভাস্কর্যের বিরোধিতা করে ২০২০ সালের ১৩ নভেম্বর ফয়জুল করিমের একটি মন্তব্য করেন। এ বক্তব্য নিয়ে সে সময় ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। নানা প্রতিক্রিয়ার পর তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা হয়। বর্তমানে এই মামলার তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।