ঢাকায় আগামী ৫ জুন বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী; সেই বিক্ষোভের অনুমতি চেয়ে চিঠি দিতে গিয়ে পুলিশ কার্যালয়ে দুই ঘণ্টা আটকে ছিলেন দলটির চারজন আইনজীবী। এ বিষয়ে শুরুতে জামায়াতের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল তাদের আটকে রাখা হয়েছিল। তবে পুলিশের ভাষ্য, আবেদন গ্রহণের আগে তাদের পরিচয় যাচাই করা হয়েছিল।
সোমবার বিকালে জামায়াতের চিঠি নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে যান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সাইফুর রহমান, গোলাম রহমান ভূঁইয়া, আব্দুল বাতেন ও জালাল উদ্দীন ভূঁইয়া।
ডিএমপি কমিশনারের দপ্তরে গেলে তাদের আটক করে রমনা থানায় সহকারী পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জামায়াত নেতারা অভিযোগ করেন।
এক বিবৃতিতে জামায়াত জানিয়েছে, ডিএমপি কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ডিএমপি কার্যালয়ে স্ব-শরীরে আবেদন জমা দিতে গেলে জামায়াতের প্রতিনিধি দলকে ডিএমপি কার্যালয়ের গেট থেকে এডিসি হারুন অর রশিদ ও বিপ্লব কুমার সরকারের নেতৃত্বে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের নেতা আশরাফুল আলম ইমন বিকাল ৫টার দিকে একটি গণমাধ্যমকে বলেন, বিকাল থেকে তাদের আটকে রাখা হয়েছে সেখানে।
এ বিষয়ে ডিএমপির রমনা জোনের সহকারী কমিশনার সালমান ফারসি বলেন, তাদের পরিচয় ‘যাচাই-বাছাই’ করা হচ্ছে।
যাচাই করার পর আবেদন রেখে ওই চারজনকে ছেড়ে দেওয়ার হয়েছে। জামায়াতের বিভিন্ন নেতার নামে নানা মামলা রয়েছে। যারা এসেছিলেন, তারা কোনো মামলার আসামি কি না, তাদের বিরুদ্ধে কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে কি না, তা যাচাই করতে কিছুটা সময় লেগেছিল। পরে তাদের আবেদন রেখে দেওয়া হয়। এরপর তারা চলে যান।
আগামী ৫ জুন বিকালে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ করতে চায় জামায়াত।
সেই কর্মসূচি পালনে সহায়তা চেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে ই-মেইলেও আবেদন পাঠিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের অফিস সেক্রেটারি মোবারক হোসাইন।