চাঞ্চল্যকরভাবে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজারে নৈশপ্রহরীকে হত্যা করে একই বাজারে দুটি সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় সাতজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে দুটি গুলিসহ দেশে তৈরি ১টি এলজি, ডাকাতি করা ৬০ ভরি সোনা, ১৬০ ভরি রুপা, সাড়ে তিন লাখ টাকা ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ছাড়াও পৃথক ঘটনায় চুরি করা চারটি গরুও তাঁদের দেওয়া তথ্যে উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন– শাহদাত হোসেন (৩২), সালাউদ্দিন (৩২), মিজানুর রহমান (৩৬), মো. নোমান (৩৫), সাদ্দাম হোসেন (৩০), মো. সুজন হোসেন (২৭) ও কমল কৃষ্ণ সরকার (৩২)।
সোমবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ডাকাতির ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানান জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।
এর আগে গতকাল রোববার জেলা পুলিশের একাধিক দলের পৃথক অভিযানে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ও সোনাইমুড়ী উপজেলা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, সোনার দোকানে ডাকাতিতে জড়িত দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন মো. শাহাদাত ও মো. মিজানুর রহমান। শাহাদাত সোনাইমুড়ী উপজেলার ও মিজানুর কবিরহাটের বাসিন্দা। দুজনের পরিচয় হয় নোয়াখালী জেলা কারাগারে। দুজন ২০১৮ সালে পৃথক মামলায় কারাগারটিতে ছিলেন। এরপর জামিনে বের হয়ে দুজন ডাকাত দল গঠন করেন।
তিনি বলেন, শুরুতে তাঁদের সঙ্গে দলটিতে যোগ দেন সালাউদ্দিন। তিনি বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী চৌরাস্তা এলাকার একটি ওয়েল্ডিং কারখানার মালিক। পরে দলটিতে অন্যরা যুক্ত হন।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।তাঁদের রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হবে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গেত, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটা থেকে ভোর চারটার মধ্যে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট বাজারে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাত দল বাজারের পাঁচ নৈশপ্রহরীর চারজনকে হাত-পা বেঁধে ফেলেন। শহিদ উল্যাহ নামের আরেক প্রহরীকে মাথায় ভারী বস্তুর আঘাতে হত্যা করেন ডাকাতরা।