স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে বাংলাদেশে গুম হওয়া ব্যক্তিদের ব্যাপারে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট জানতে চাইলে তিনি বলেন, এদের বিভিন্নজনের বিরুদ্ধে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। অনেকের পারিবারিক অশান্তি রয়েছে। অনেকে স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে রয়েছেন।
রবিবার (১৪ আগস্ট) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে মিশেল ব্যাচেলেটকে এসব কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যে ভালো করতে না পেরে, ঋণে জর্জরিত হয়ে ও নানা ঝামেলায় অনেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। কেউ ইচ্ছাকৃত গুম হলে তাকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গুম হওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে যারা গুম দিবস পালন করে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন তারা একটি উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাউকে তুলে নিয়ে গেলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করে।
মিশেল ব্যাচেলেটকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে কথা রাখেনি মিয়ানমার। মিশেল বলেছেন মিয়ানমারের অবস্থা ভালো নয় তাই রোহিঙ্গা শরণার্থীরা সেখানে ফিরতে পারছেন না। তবে, এ ব্যাপারে কাজ করছে জাতিসংঘ।
এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি চুক্তির বিষয়ে তিনি জানান, এক সময় পাহাড়ে অশান্তি থাকলেও শান্তি চুক্তির আওতায় এখন নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। পাহাড়ে ভূমি কমিশনের কার্যক্রম শিগগিরই শুরু করতে পাহাড়ি নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে কাজ চলছে। সেখানে সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে শুধুমাত্র পুলিশ যাতে কাজ করতে পারে সেই উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
এদিন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সংকোচন, সুশীল সমাজসহ মানবাধিকারের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেছেন। রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মিশেল ব্যাচেলেটের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।