নির্বাচন কমিশন গত বুধবার (১৫ নভেম্বর) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করেন। আর এই তপশিল ঘোষণার বিষয়টা উঠে আসে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে। একইসঙ্গে জানতে চাওয়া হয় রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হুমকি এবং রাষ্ট্রদূতের নিজের ও দূতাবাসকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে কী ভাবছে?
এ প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, ‘বিদেশে দূতাবাসগুলোতে আমাদের কূটনীতিকদের নিরাপত্তা আমাদের শীর্ষ অগ্রাধিকার। কূটনীতিকদের প্রতি হুমকিকে আমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিই।’
তিনি বলেন, ‘কূটনীতিকদের প্রতি সহিংসতা ও সহিংসতার হুমকি অগ্রহণযোগ্য। রাষ্ট্রদূত হাসকে হুমকির বিষয়টি আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে বারবার তুলে ধরেছি। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে মনে করিয়ে দিয়েছি, ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী আমাদের কূটনৈতিক মিশন ও কূটনৈতিক কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা স্বাগতিক দেশের দায়িত্ব। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে এই বাধ্যবাধকতা পূরণে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানাই।’
নির্বাচনের তপশিল নিয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে ম্যাথু মিলার তাদের আগের অবস্থানকে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে আমরা যে বার্তা দিয়েছি, তা এখনো একই আছে। শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন— বাংলাদেশের জনগণ যা চায়, আমরা তা-ই চাই। আমরা কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না। একটি দলের বিরুদ্ধে আরেকটি দলের অবস্থানকে সমর্থন করি না।
ম্যাথু মিলার আরও বলেন, ‘আমরা চাই, সব রাজনৈতিক দল সংঘাত এড়িয়ে চলুক ও সংযম পালন করুক এবং শান্তিপূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য একসঙ্গে কাজ করুক।’