প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কেউ বেকার থাকবে না সেই ব্যবস্থা করেছি। যশোর ২৫০ শয্যা থেকে ৫০০ শয্যা হাসপাতালে উন্নীত করছি। অভয়নগরে ইপিজেড করার জন্য ৫০০ একর জমি অধিগ্রহণ করেছি। যুবকরা কেউ বেকার থাকবে না এবং গৃহহীন থাকবে না।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) বেলা তিনটার দিকে যশোর শামস্-উল হুদা স্টেডিয়ামে আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেছেন, নৌকায় ভোট দিয়ে আপনারা আমাদের নির্বাচিত করে সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। আগামী নির্বাচনে আমি আপনাদের ওয়াদা চাই, সেই নির্বাচনেও নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে আপনারা দেশের সেবা করার সুযোগ দেবেন কিনা হাত তুলে ওয়াদা করেন।
তিনি বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর জয় বাংলা স্লোগান ও ব্ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম নিষিদ্ধ ছিল। ইতিহাস বিকৃতি, হত্যা, ক্যু আর ষড়যন্ত্র হয়েছে। হাজার হাজার সেনা-বিমান বাহিনীর অফিসারকে হত্যা করা হয়েছে। একের পর এক ক্যু হয়েছে।এই তো ছিল তখনকার অবস্থা। আর এসব হত্যাকাণ্ডে জিয়া, মোশতাক এরা সবাই খুনি। বিচার চাওয়ার অধিকার আমার ছিল না। মা, বাবা, ভাই হারিয়েছি; বিচার চাইতে পারব না। তারপরও সবকিছু মাথায় নিয়ে ফিরে এসেছি বাংলার জনগণের কাছে। কারণ এ জাতির জন্য আমার বাবা সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন। কাজেই আমার একটাই লক্ষ্য বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়েই বারবার ক্ষমতায় এসেছি। আর ক্ষমতায় এসেছি বলেই এত উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে। যে বাংলাদেশকে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করেছিল, বিদেশ থেকে পুরোনো কাপড় এনে এ দেশের মানুষকে পরাতো, মানুষের পেটে খাবার ছিল না, মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল না, রোগে চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিয়েছে। যেখান থেকে বিনা পয়সায় ৩০ ধরনের ওষুধ পাওয়া যায়।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে পুরো যশোর শহর জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। বেলা ১২টার দিকে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত, গীতা ও ত্রিপিটক পাঠের মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জনসভা শুরু হয়।
দলীয় সূত্র জানায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলীয় ব্যানারে ঢাকার বাইরে প্রধানমন্ত্রীর এটিই প্রথম জনসভা। তার আগমন ঘিরে গোটা যশোরে এখন নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা হয়েছে।