সুদানের এক শহরে সবচেয়ে বড় বিমান হামলার ঘটনায় অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অসংখ্য বেসামরিক লোকজন। দেশটিতে কয়েক মাস ধরে চলা সেনাবাহিনীর নিয়মিত সৈন্য এবং আধা-সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) সদস্যদের সংঘর্ষের মধ্যে এটি সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা বলে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
হামলার বিষয়ে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাজধানী খার্তুমের পাশের শহর ওমদুরমানের আবাসিক এলাকায় গতকাল শনিবার (৮ জুলাই) এ হামলা চালানো হয়েছে।
তবে আরএসএফ বলছে, হামলায় ৩১ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। তারা এ হামলার জন্য সেনাবাহিনীকে দায়ী করেছে। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সামরিক বাহিনী একটি গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহের লাইন বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে আধা সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, সেনাপ্রধান জে আব্দুল ফাতাহ আল বুরহানের নেতৃত্বে চরমপন্থী সন্ত্রাসী মিলিশিয়া পরিচালিত ইচ্ছাকৃত বিমান হামলার তীব্র নিন্দা করছে আরএসএফ। তবে এ নিয়ে সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
ওমদুরমানের দুই বাসিন্দা জানান, এটা বলা বেশ কঠিন আসলে কোন পক্ষ এ হামলার জন্য দায়ী। সেনাবাহিনীর বিমান এই অঞ্চলে ক্রমাগত আরএসএফের সেনাদের লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালাচ্ছে এবং আরএসএফ বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে ড্রোন এবং বিমান বিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহার করছে।
সুদানের সেনাপ্রধান জে আব্দুল ফাতাহ আল বুরহান এবং তার প্রতিপক্ষ মিলিশিয়া বাহিনী আরএসএফের প্রধান জেনারেল মোহামেদ হামদান দাগালো-যিনি হেমেটি নামে বেশি পরিচিত তাদের দুইজনের ক্ষমতা ভাগাভাগির দ্বন্দ্ব নিয়ে দেশটিতে এ সংঘর্ষ চলমান।
এর আগে গত মাসে খার্তুমে বিমান হামলায় পাঁচ শিশুসহ ১৭ জন নিহত হয়।