বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি করেছেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক নেতারা।
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. একেএম আজিজুল হক এবং মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্রের মুক্তি আন্দোলনে আপসহীন নেত্রী। সারা দেশে সর্বাধিক জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। অসুস্থতার কারণে বারবার হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। তথাপি তার প্রতি ফ্যাসিস্ট সরকারের হিংসামূলক কর্মকাণ্ড ও অপপ্রচার বন্ধ হয়নি। তার শারীরিক যেকোনো ক্ষতি হলে এর দায়ভার সরকারকেই বহন করতে হবে।’
এতে বলা হয়, বাংলাদেশে আজ মানবাধিকার ও বিবেকের মৃত্যু ঘটেছে। সর্বশেষ খালেদা জিয়া ৯ আগস্ট এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে তিনি এখনো চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। তিনি আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, লিভার, কিডনি ও হৃদরোগে ভুগছেন। চিকিৎসকরা প্রতিনিয়ত তাকে বিদেশে উন্নত মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু সরকার সেদিকে কোনো কর্ণপাত না করে চিকিৎসার মতো মানবিক বিষয়টিতেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে।
বিএমএ নেতারা আরও জানান, আমরা চিকিৎসক সমাজসহ দেশবাসী জানে সুস্থ ও সচল অবস্থায় খালেদা জিয়া কারাবন্দি হয়েছেন। পরবর্তী সময়ে চিকিৎসার চরম অবহেলায় তিনি নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত হন। পুরোনো আর্থ্রাইটিস ও ডায়াবেটিসের সুচিকিৎসা না হওয়ায় সেগুলো জটিল আকার ধারণ করেছে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন অধ্যাপক ডা. গাজী আব্দুল হক, অধ্যাপক ডা. বায়েছ ভূঁইয়া, অধ্যাপক ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, অধ্যাপক ডা. রফিকুল কবীর লাবু, ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. মঈনুল হাসান সাদিক, অধ্যাপক ডা. আজিজ রহিম, অধ্যাপক ডা. শামিমুর রহমান, ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, ডা. রফিকুল হক বাবলু, অধ্যাপক ডা. হারুন-আল-রশিদ।
এ ছাড়াও অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মাহবুবুল আলম, অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ডা. শাখাওয়াত হোসেন জীবন, ডা. শহিদুল আলম, ডা. মো. আব্দুস সালাম, ডা. শহিদ হাসান, অধ্যাপক ডা. আব্দুল মান্নান মিয়া, ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুস, অধ্যাপক ডা. এসএম রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন, অধ্যাপক ডা. সুমন নাজমুল হোসেন, ডা. মো. ওবায়দুল কবীর খান, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. এমএ সেলিম, ডা. ওয়াসিম হোসেন, অধ্যাপক ডা. মওদুদুল আলামগীর পাভেল, ডা. শাহ মোহাম্মদ শাহজাহান আলী, অধ্যাপক ডা. সাইদুর রহমান, ডা. মোহাম্মদ আলী, ডা. একেএম মুসা, ডা. মো. আক্তারুজ্জামান, ডা. আমিরুজ্জামান খান লাভলু, ডা. শাহ্ মো. হাফিজুর রহমান মুজাহিদ, ডা. আসফারুল হাবীব রোজ, ডা. মো. আব্দুল মুত্তালিবসহ বিএমএ’র শতাধিক সাবেক নেতা।