বাস-মিনিবাস মালিক-শ্রমিকদের ডাকা দুই দিনের ধর্মঘটের কারণে শুক্রবার সকাল থেকে খুলনায় বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন হাজার হাজার যাত্রী।
নছিমন-করিমন-ভটভটিসহ সকল যান চলাচল বন্ধের প্রতিবাদে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে খুলনা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি ও মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন।
ধর্মঘটের কারণে সকাল থেকে বিভাগের ১৮টি রুটে খুলনায় একটি বাসও ছেড়ে যায়নি ও প্রবেশ করেনি।
অনেক এলাকায় মানুষ নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য কিছু গণপরিবহনের জন্য রাস্তায় অপেক্ষা করছে।
সাতক্ষীরাগামী যাত্রী আকলিমা হোসেন জানান, তিনি খুলনার একটি প্রাইভেট ফার্মে কাজ করেন এবং প্রতি সপ্তাহে বাড়ি যান।
তিনি বলেন, ‘ধর্মঘটের কারণে আজ বাড়ি যেতে পারব বলে মনে হয় না। আমার মা অপেক্ষা করবে।’
সকাল থেকে কোনো বাস না থাকায় যশোরগামী অনেক যাত্রীকে খুলনার সোনাডাঙ্গা বাসস্যান্ড থেকে ফিরতে হয়েছে।
বিক্ষুব্ধ যাত্রীদের একজন সনাতন রায় জানান, ধর্মঘটের কারণে যশোরে একটি বিয়েতে যোগ দেয়ার পরিকল্পনা তাকে বাতিল করতে হয়েছে।
এর আগে বুধবার (১৯ অক্টোবর) খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির জরুরি সভায় পরিবহন দুইদিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সমিতির কর্মকর্তা, শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ ও মালিকদের উপস্থিতিতে সভায় বলা হয়, হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সড়ক-মহাসড়কে নসিমন-করিমন, মহেন্দ্র, ইজিবাইক ও বিটিআরসির গাড়িগুলো চলাচল করছে। অবৈধ নছিমন-করিমন মাহেন্দ্র ইজিবাইক ও বিটিআরসির যত্রতত্র কাউন্টার বন্ধের দাবিতে ২১ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত দুই দিন মালিক সমিতির সকল গাড়ি বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়।
তবে বিএনপি নেতারা বলেছেন, পরিবহন ধর্মঘট ডেকে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও নৌপথে সকল বাহন বন্ধ করে দিলেও শনিবারের খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশ জনসমুদ্রে রূপ নেবে
খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এসএম শফিকুল আলম মনা বলেন, শনিবার (২২ অক্টোবর) নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্ত্বরে খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশ। এই সমসবেশে যাতে নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হতে না পারে এ কারণে পরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া কোনো কারণ ছাড়াই নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তাদের আটক করে সমাবেশ বানচাল করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, সব বাধা উপেক্ষা করে সমাবেশ সফল করা হবে।
বিএনপির বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু বলেন, মাগুরাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা ইতোমধ্যে খুলনায় চলে এসেছেন। সমাবেশ সফল হবে।