গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে সরে গেলেন ড. রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হক নুরের গণঅধিকার পরিষদ। জোট ছাড়ার কারণ হিসেবে গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক বলেন, নানা কারণে গণঅধিকার পরিষেদের নেতাকর্মীরা গণতন্ত্র মঞ্চের আচরণে সন্তুষ্ট নয়। আমরা তরুণ, আমাদের সঙ্গে অনেক বিষয়ে মঞ্চের মিল হচ্ছিল না।
তিনি বলেন, গণঅধিকার পরিষদ শুধু মঞ্চের সঙ্গে সীমাবদ্ধ না থেকে নিজস্ব উদ্যোগে চলমান যুগপৎ আন্দোলনে রাজপথে সমন্বিত কর্মসূচি পালন করবে।
আজ শনিবার থেকে গণতন্ত্র মঞ্চের একটি দল মঞ্চ থেকে কমে গেল।
গত আটমাস আগে বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের অন্যতম শরিক হিসেবে যোগ দেয় গণতন্ত্র মঞ্চ। সরকার পতন, সংসদ ভেঙে দেওয়া, অন্তবর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে সরকার বিরোধী যুগপৎ আন্দোলনে যোগ দেয় গণতন্ত্র মঞ্চ। গেল বছরের ৮ আগস্ট সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) মোট সাতটি রাজনৈতিক সংগঠন মিলে সরকার বিরোধী নতুন এই রাজনৈতিক জোটের জন্ম হয়।
‘গণতন্ত্র মঞ্চে’র দল সাতটি হল, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
নুরুল হক বলেন, আমরা বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের সাথেই আছি। বিএনপির সাথে আমাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে।
এ সময় এক প্রশ্নে জাবাবে তিনি বলেন, গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যান্য দলের চেয়ে গণঅধিকার পরিষদের সাংগঠনিক কাঠামো অনেক ভালো। সমাবেশে দলের লোকসমাগমও অনেক বেশি হয়। তবে গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যান্য নেতারা গণঅধিকার পরিষদকে তেমন মূল্যায়ন করছে না। তারা ভাবেন-এটা একটা নতুন দল। এই বিষয়টি নিয়ে আমাদের তরুণ নেতৃবৃন্দরা অনেকটা হতাশ।