২০২২ সালের গণতন্ত্র সূচকে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। ১৬৭টি দেশ ও ২টি অঞ্চল নিয়ে তৈরি করা হয়েছে ২০২২ সালের এই সূচক। এতে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৭৩তম।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) এ সূচক প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট(ইআইইউ)।
এ সূচকটিতে ১০ স্কোরের মধ্যে বাংলাদেশের স্কোর ৫ দশমিক ৯৯। ২০২১ সালে একই স্কোর নিয়ে তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৭৫তম। এর আগের বছর ছিল ৭৬তম। এ হিসেবে গণতান্ত্রিক চর্চায় ধারাবাহিক উন্নতির পথে রয়েছে বাংলাদেশ।
সূচকে পাঁচটি মূল বিষয়ের আলোকে বিশ্বব্যাপী দেশগুলোর গণতন্ত্রের অবস্থা মূল্যায়ন করা হয়েছে। বিষয়গুলো হলো: নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও বহুত্ববাদ, সরকারের কার্যকারিতা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও নাগরিক স্বাধীনতা।
সূচকে দেশ ও অঞ্চলগুলোকে চারটি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। পূর্ণ গণতন্ত্র, ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র, হাইব্রিড শাসনব্যবস্থা ও কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা।
এবারের সূচকে পূর্ণ গণতন্ত্র বিভাগে রয়েছে ২৪টি দেশ। ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র বিভাগে ৪৮টি দেশ। হাইব্রিড শাসনব্যবস্থায় ৩৬টি দেশ। কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থায় ৫৯টি দেশ।
আগের বছরের সূচকের মত বাংলাদেশ এবারও হাইব্রিড শাসনব্যবস্থা বিভাগে রয়েছে। সূচকের স্কোর ১০-এর মধ্যে যেসব দেশের স্কোর ৪ থেকে ৬-এর মধ্যে, তারাই এই বিভাগে রয়েছে। এই বিভাগে সবার ওপরে বাংলাদেশ। সবার নিচে মৌরিতানিয়া। সূচকে দেশটির অবস্থান ১০৮তম, স্কোর ৪ দশমিক শূন্য ৩।
ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের বিবেচনায় হাইব্রিড শাসনব্যবস্থা বলতে বোঝায়, যেখানে প্রায়ই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হয়। এ শাসনব্যবস্থায় বিরোধী দল ও বিরোধী প্রার্থীদের ওপর সরকারের নিয়মিত চাপ থাকে। এই বিভাগে থাকা দেশগুলোর বিচারব্যবস্থা স্বাধীন নয়। সাংবাদিকদের হয়রানি ও চাপ দেওয়া হয়। দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার, দুর্বল আইনের শাসন, দুর্বল নাগরিক সমাজ এই ধরনের শাসনব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য।
এবারের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে, স্কোর ৯ দশমিক ৮১ স্কোর। শীর্ষ দশে আরও আছে নিউজিল্যান্ড, আইসল্যান্ড, সুইডেন ও ফিনল্যান্ড।
এ সূচকে শূন্য দশমিক ৩২ স্কোর নিয়ে আফগানিস্তান (১৬৭তম) সবার নিচে রয়েছে। কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা বিভাগের অন্তর্গত অন্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে মিয়ানমার ১৬৬তম। দক্ষিণ এশিয়ার ভারত ৪৬তম ও শ্রীলঙ্কা ৬০তম অবস্থানে রয়েছে।