গাইবান্ধা-৫ আসনের (ফুলছড়ি-সাঘাটা) উপ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ বন্ধের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আওয়ামী লীগ। কোনো ধরনের মারামারি ও সংঘাত-সহিংসতার ঘটনা না ঘটলেও কেন এই ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হলো সেটাও বোধগম্য নয় বলে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।
এদিকে, নির্বাচন বন্ধের প্রতিবাদ ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের শাস্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
এর আগে, বুধবার দুপুরে ঢাকায় বসে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের ভোটকেন্দ্রে স্থাপিত সিসি ক্যামেরার ভিডিওতে নানা অনিয়ম দেখে এই নির্বাচন বন্ধের সিদ্ধান্ত জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেন, ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ায় আমরা পরিশেষে সিদ্ধান্ত নিয়েছি- সমগ্র নির্বাচনী এলাকা বা গাইবান্ধা-৫ নির্বাচনী এলাকার ভোট কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি।’
এই অবস্থায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানান দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফ। তিনি বলেন, ‘আজকের নির্বাচনের কোনো ভোটকেন্দ্রে গোলযোগ কিংবা বিশৃঙ্খলা হয়েছে, এমন কোনো খবর নেই। এমনকি কোনো ভোটকেন্দ্রে ন্যূনতম মারামারিও হয়নি।’
তিনি বলেন, তারপরও প্রথমে কিছু কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে আবার সব কেন্দ্রে স্থগিত এবং সবশেষে গোটা নির্বাচনই স্থগিত করা হয়েছে। এটা কেন করা হলো- সেটা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। এই ভোট বন্ধ হওয়া আশ্চর্যজনক।
বিকেল ৫টার দিকে সাঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে উপনির্বাচন বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন।
মাহমুদ হাসান রিপন বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর থেকে সব প্রার্থী তাদের প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি, কোনো সংঘর্ষ-সংঘাত হয়নি। অথচ বাস্তবসম্মত বা কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই নির্বাচন কমিশন বেশ কিছু কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে। যা সাধারণ ভোটারদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করে। তারপরও আমরা নির্বাচন কমিশনের এক তরফা সিদ্ধান্ত মেনে চলি। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে দুপুরে নির্বাচন কমিশন পুরো নির্বাচন স্থগিত করে, যা সাধারণ জনগণ ও ভোটারদের হতবাক করেছে। আমি নির্বাচন কমিশনের এমন সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’