প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে হামাস-ইসরায়েল চলমান সংঘাতে ৫ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ গেছে আরও ৭০৪ জন। মঙ্গলবার ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর থেকে একদিনে এটিই সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।
অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লায় জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ৪৭টি ‘গণহত্যা’ হয়েছে। হামাস নিয়ন্ত্রিত মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৩০৫ জন শিশু, ১৭৩ জন নারী এবং ৭৮ জন বয়স্ক ব্যক্তি রয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, সর্বশেষ হতাহত গাজায় নিহতের মোট সংখ্যা ৫ হাজার ৭৯১ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৩৬০ শিশু, ১ হাজার ৪২১ নারী এবং ২৯৫ জন বয়স্ক লোক রয়েছে।
মন্ত্রণালয় বলেছে, বিভিন্ন মাত্রায় ১৬ হাজার ২৯৭ জন আহত এবং ১ হাজার ৫৫০ নিখোঁজ ব্যক্তির রিপোর্ট রয়েছে। এর মধ্যে আরও ৮৭০টি শিশু রয়েছে।
গত দুই সপ্তাহের মধ্যে উত্তর গাজার সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী বোমা হামলা ছিল রোববার রাতের বিস্ফোরণ।
ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী অবরুদ্ধ অঞ্চলে একটি সম্ভাব্য স্থল অভিযানের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং ইতিমধ্যেই সীমান্তে বিপুল সংখ্যক সৈন্য ও ট্যাঙ্ক জমা হয়েছে।
সোমবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত বলেছেন, ইসরায়েল হামাসের বিরুদ্ধে ‘আকাশ, স্থল ও সমুদ্র থেকে বহুপাক্ষিক অভিযানের’ প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আরব ও মুসলিম দেশগুলোর প্রতি হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ওসামা হামদান আহ্বান জানিয়েছেন, দখলকারী রাষ্ট্রের সাথে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন করতে এবং তাদের রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করার।
তিনি বলেন, আমরা আরব ও ইসলামিক দেশগুলি এবং জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানাই যে তারা [ইসরায়েলের] আগ্রাসন বন্ধ করার জন্য যেন নৈতিকভাবে সমর্থন জানায়।