নিরাপদ সড়ক চাই’র (নিসচা) চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছেন, ঠিকভাবে গাড়ি চালানো না শিখেও চালকরা লাইসেন্স পাচ্ছেন। ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার আগে যেভাবে পরীক্ষা নেওয়া দরকার, সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) তা নেয় না। ক্ষমতাধররা টেলিফোনে বিআরটিএকে বলে দেয়, লাইসেন্স দিতে। তাতে গাড়ি চালাতে না জানা ব্যক্তিও লাইসেন্স পেয়ে যায়। আর কোনো দেশে এই ব্যবস্থা নেই।
সোমবার জাতিসংঘ ঘোষিত সপ্তম বৈশ্বিক নিরাপদ সড়ক সপ্তাহ উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিন দশক ধরে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করা চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।
এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা ১০টি সংগঠনের জোট রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ। প্রতি বছর জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোতে সড়ক নিরাপত্তা সপ্তাহ পালিত হয়। আজ থেকে আগামী ২১ মে পর্যন্ত সপ্তাহটি পালিত হবে। এবারের প্রতিপাদ্য টেকসই যাতায়াত।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, সঠিকভাবে গাড়ি চালাতে না জানা চালককে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া বন্দুকের চেয়েও ভয়ঙ্কর। বন্দুকের এক গুলিতে একজনের প্রাণ যায়। অদক্ষ চালাকের গাড়িতে ৫০ জনেরও প্রাণ যেতে পারে।
তিনি অভিযোগ করেন, সড়ক পরিবহন আইনের নিরাপত্তায় জোর দেওয়া হনি। সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিতে জাতিসংঘের নীতির আলোকে নিরাপদ সড়ক, নিরাপদ ব্যবস্থাপনা, নিরাপদ যানবাহন, নিরাপদ ব্যবহারকারী ও দুর্ঘটনা পরবর্তী চিকিৎসা আইনে থাকতে হবে। একইসঙ্গে নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে নতুন আইন প্রণয়নের দাবি জানান ইলিয়াস কাঞ্চন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের সড়ক নিরাপত্তা কর্মসূচির ব্যবস্থাপক এম খালিদ মাহমুদ, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোড সেফটির প্রকল্প পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান ভূঞা, বিএনএনআরসি’র প্রধান নির্বাহী এ এইচ এস বজলুর রহমান, সিআইপিআরবির প্রকল্প ব্যবস্থাপক কাজী বোরহান উদ্দিন প্রমুখ।