গ্রামগঞ্জের কোনো মানুষ না খেয়ে নেই। প্রত্যেক মানুষের গায়ে জামাকাপড় আছে। আমি মনে করি না, আমরা খুব খারাপ অবস্থায় আছি বলেই জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
বুধবার(১০ আগস্ট) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম, বাংলাদেশ আয়োজিত‘নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি: জনজীবনের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সংলাপের সভাপতিত্ব করেন নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি অমিতোষ পাল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সোহেল মামুন।
মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, আমদানির জন্য কারেন্ট অ্যাকাউন্টে (চলতি হিসাবে) ঘাটতি আছে। কিন্তু দেশে রিজার্ভ আছে। রিজার্ভ দিয়ে এটা কভার করা যাবে। আমরা আমদানি করছি বেশি। বাংলাদেশ প্রতি মাসে ৮ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণের আমদানি করে। এতে একদিকে আমাদের ওপর চাপ আসছে, আরেক দিকে দেখে খুশিও লাগছে যে বাংলাদেশ মাসে ৮ বিলিয়ন ডলার আমদানি করে।
তিনি বলেন, একসময় আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৯ বিলিয়ন ডলার। আমরা তো এখন এটা হ্যান্ডেল করতে (সামাল দিতে) পারছি।
গ্রামগঞ্জের কোনো মানুষ না খেয়ে নেই জানিয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেক মানুষ খেতে পারছে। প্রত্যেক মানুষের গায়ে জামাকাপড় আছে।…আমি মনে করি না, আমরা খুব খারাপ অবস্থায় আছি। একটা প্যানিক (আতঙ্ক) সৃষ্টি করে ভয় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কেউ বলতে পারবে না পৃথিবীর অবস্থা কোন দিকে যাবে। দুঃসময় সারা পৃথিবীতে। এটা বর্তমান সরকার তৈরি করেনি।
বিদেশে টাকা পাচারের ইস্যুতে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘হ্যাঁ, আপনি বলছেন, এই দেশ থেকে টাকা পাচার হয়ে গেছে। এখন টাকা তো গেছে, তাদের ধরেন। বলবেন, আপনি ধরেন না কেন? ধরার জন্য আমাদের যে চেষ্টা নেই, এটা বলব কী করে। এটা তো আজকে না, প্রথম থেকে গেছে। বহুজনের টাকাও আনা হয়েছে বিদেশ থেকে।’
তিনি বলেন, ‘আইএমএফ থেকে আমরা মাঝে মাঝে ঋণ নিই, আবার দিয়েও দিই। করোনার সময় নেওয়া হয়েছে দুই মিলিয়ন ডলারের মতো, সেটা নিয়ে দিয়ে দেওয়াও হয়েছে। এখন তারা দেখে, আমরা তাদের টাকা নিয়ে ফেরত দিতে পারব কি না। এ জন্য তারা কোনো কোনো জায়গায় (বিষয়ে) পরামর্শ দেয়।’
বাংলাদেশকে এখনো বিভিন্ন ঋণদাতা সংস্থা ঋণ দেওয়ার জন্য আসে উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের অবস্থা যদি এত খারাপ হয়, তাদের কি মাথা খারাপ হয়েছে ঋণ দেওয়ার জন্য। বন্যায় সিলেট ও সুনামগঞ্জে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে নেওয়ার কাজ করার জন্য নতুন প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক আমাদের সেধে টাকা দিচ্ছে। বিশ্বব্যাংক এসে ঘুরছে বিভিন্ন প্রকল্পে টাকা দেওয়ার জন্য। তারা ঋণ কখন দেয়, যখন আমরা শোধ করতে পারি।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন,জনগণের জন্যই জনগণকে কষ্ট করতে হবে। তেলের দাম বেড়েছে, মূল্যস্ফীতির কথা বলা হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি আমরা ডেকে আনিনি, এটা জোর করে ঢুকেছে।