ধেয়ে আসছে সাতক্ষীরা উপকূলের দিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। কয়েক ঘন্টার মধ্যে আঘাত হানতে পারে শক্তিশালী সিত্রাং। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সাতক্ষীরায় বিরাজ করছে গুমোট আবহাওয়া।
সোমবার সকাল থেকে শুরু হয় গুড়িগুড়ি বৃষ্টি। আকাশে প্রচন্ড মেঘ। দিন যতই গড়াচ্ছে ততই বৃষ্টির মাত্রা বাড়ছে। সাতক্ষীরা উপকূলের নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় দুই ফুট জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কোন লোকালয়ে পানি প্রবেশের খবর পাওয়া যায়নি।
ইতোমধ্যে সুন্দরবনের জেলে বাওয়ালীদেরকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। জেলায় ৫৭টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির জানান, জেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুটি বিভাগের ৭৮০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে ১০টি পয়েন্টে ৮০ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বেড়িবাঁধ ভাঙ্গন এড়াতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ২০ হাজার জিও ব্যাগ মজুদ রাখা হয়েছে।
এছাড়া জেলার আশাশুনি উপজেলায় ১০৮টি, শ্যামনগর উপজেলায় ১০৩টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ৪৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দূর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, প্রয়োজনীয় ওষুধ, সুপেয় পানিসহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
সুন্দরবন ঘেষা দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জি এম মাসুদুল আলম বলেন, নদী সাঙ্গাতিক উত্তল। নদীর পানি বেড়েছে প্রায় দুই ফুট। একাধিক স্থান যে কোন সময় ধ্বসে পড়বে। মাঝে মাঝে দমকা হাওয়া বইছে। কখনও ভারী আবার কখনও মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
মানুষের মধ্যে আতংক রয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। অনেকেই আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছে। সন্ধ্যার আগেই মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যেতে বলা হয়েছে।
আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, আম্পানের ক্ষতি এখনও মানুষ কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এরই মধ্যে সিত্রাং এর খবর শুনে মানুষ আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। বেড়িবাঁধের অবস্থা আগে থেকেই নাজুক। এছাড়া জলোচ্ছ্বাস হলে এলাকায় ভাসিয়ে নিয়ে যাবে।