চট্টগ্রামে অপহরণের পর ৫ বছরের শিশু আয়াতকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার আবীর আলীর বাবা-মাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট অলিউল্লাহ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ ঘটনায় আবিরের অপ্রাপ্তবয়স্ক ছোট বোনকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রেখে সমাজসেবা কর্মকর্তার উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ এর বিচারক সিরাজউল্লাহ কুতুবী এ আদেশ দেন।
আবিরের বাবা আজহারুল ইসলাম, মা আলো বেগম এবং তাদের ১৫ বছর বয়সী মেয়েকে মঙ্গলবার সকালে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পরপরই তাদেরকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়।
পিবিআই সূত্রে জানা যায়, শিশু আয়াতকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত আবীর আলীকে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার দেওয়া তথ্য যাচাই করে আবিরের বাবা-মা, বোনের কাছে আয়াত হত্যার বিষয়ে আরও তথ্য থাকতে পারে বলে পুলিশের ধারণা হয়। সেই তথ্যগুলো যাচাই করে দেখার জন্য আবীরের বাবা, মা ও ছোট বোনকে গ্রেফতার করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ নভেম্বর ৫ বছরের শিশু আয়াত চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড এলাকার নয়ারহাট বিদ্যুৎ অফিসের সামনে থেকে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা সোহেল ইপিজেড থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। ঘটনা তদন্তে নেমে আয়াতদের বাসার সাবেক ভাড়াটিয়া আবিরের সম্পৃক্ততা পায়।
আয়াতকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করাই ছিল আবিরের লক্ষ্য। কিন্তু ঘটনার দিন তার মোবাইলের সিম কাজ না করায় আয়াতের পরিবারকে সে টাকার জন্য ফোন দিতে পারছিল না। এক পর্যায়ে শিশুটি কান্নাকাটি শুরু করলে আবীর তাকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলে। সেই লাশ পরদিন সকালে ৬ টুকরা করে সাগরে ভাসিয়ে দেয় আবির, তদন্তের পর এমনটাই জানিয়েছে পিবিআই৷
আবীরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শিশুটির খণ্ডিত লাশের সন্ধানে নগরীর আউটার রিং রোডের বে টার্মিনাল এলাকা এবং আকমল আলী খালের মোহনায় তল্লাশি করে পিবিআই। কিন্তু এখন পর্যন্ত শিশুটির দেহাবশেষ পাওয়া যায়নি।