চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের ভাইবা দিতে এসে ছাত্রলীগের মারধরের শিকার হয়েছেন এক নিয়োগপ্রার্থী। ওই নিয়োগপ্রার্থীর নাম নুর হোসেন। তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ২০০৩-০৪ সেশনের ছাত্র ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের ভাইবা অনুষ্ঠিত হয়। সেই ভাইবাতে অংশগ্রহণ করতে আসেন নুর হোসেন। ভাইবা শেষে বিভাগে অন্যান্যদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন নুর হোসেন। সে সময় ছাত্রলীগের ভার্সিটি এক্সপ্রেস গ্রুপের নেতারা ‘নুর হোসেন’ ডাক দিয়ে তার খোঁজ করতে থাকেন। পরে তাকে খুঁজে পেয়ে মারধর করে বিভাগ থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি তাকে উপাচার্যের কক্ষে নিয়ে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ‘একজন নিয়োগপ্রার্থীকে টানাহ্যাঁচড়া করেছিল কিছু ছেলেরা। ভাইবা চলাকালীন হট্টগোলের খবর শুনতে পেয়ে সেখানে যাই। পরে সেখান থেকে আমরা তাকে প্রশাসনিক ভবনে নিয়ে আসি।’
ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া জানান, নিয়োগ কার্যক্রম স্বাভাবিক ভাবেই চলবে। তিনি কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সেটা দেখার বিষয় না।
এদিকে ছাত্রলীগের নেতারা জানান, শিবির অভিযোগে তার ভাইবা বন্ধ করতে প্রশাসনের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও ভার্সিটি এক্সপ্রেস গ্রুপের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, ‘নুর হোসেন শিবিরের সাথী। ২০০৯ সালে তিনি আমাদের সাবেক ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাজী মারুফ ইসলামকে মারধর ও রগ কেটে পঙ্গু করেছিলেন। তাই ছাত্রলীগের ছেলেরা তাকে খুঁজে পেয়ে কিছুটা হট্টগোল করেছিল। মারধর করেনি। পরে প্রশাসনের লোকজন তাকে নিয়ে যায়।’
প্রদীপ চক্রবর্তী আরও জানান, তাকে নিয়োগ দেওয়া হবে না প্রশাসনের এমন আশ্বাসে ছাত্রলীগের নেতারা তাকে প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করেছেন ।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান বলেন, আমরা শুনেছিলাম তিনি আজ ভাইবা দিতে আসবেন। পরে খোঁজ করলে তিনি ভেতরে ঢুকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে শিক্ষকরা এসে তাকে নিয়ে যান। আওয়ামী লীগের সরকার থাকাকালীন কোনো শিবিরের নেতা কেন শিক্ষক হয়ে আসবেন। আমাদের কিছু বড় ভাই বিএনপির সময়ে সার্টিফিকেটও নিতে পারেননি।’