চট্টগ্রামে ট্রান্সপোর্ট মাস্টারপ্ল্যানসহ চার হাজার ৮২৬ কোটি ২১ লাখ টাকায় মোট আট প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)৷ এই অর্থের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে দুই হাজার ৩৪১ কোটি টাকা, বৈদেশিক ঋণ সহায়তা থেকে দুই হাজার ২০৭ কোটি এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ২৭৮ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে— কুমিল্লা সড়ক বিভাগাধীন চার জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প। লেবুখালী-বাউফল-গলাচিপা-আমড়াগাছিয়া জেলা মহাসড়কের ৭০তম কিলোমিটারে রাবনাবাদ নদীর ওপর গলাচিপা সেতু নির্মাণ প্রকল্প। ট্রান্সপোর্ট মাস্টারপ্ল্যান অ্যান্ড প্রিলিমিনারি ফিজিবিলিটি স্টাডি ফর আরবান মেট্রো রেল ট্রানজিট কনস্ট্রাকশন অব চিটাগাং মেট্রোপলিটন এরিয়া প্রকল্প। কোস্টাল টাউনস ক্লাইমেট রিজিলিয়েন্স প্রজেক্ট। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগব্যবস্থা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন প্রকল্প। কারা নিরাপত্তা আধুনিকায়ন, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগ প্রকল্প। জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অবকাঠামো উন্নয়ন (ইনফো-সরকার তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্প। কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারকরণ প্রকল্প।
সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, মূল্যস্ফীতির হার নিম্নমুখী এবং মজুরি হার ঊর্ধ্বমুখী। এটা ভালো লক্ষণ। ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কমবে। ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি স্থিতিশীল হবে।
তিনি বলেন, এই মেয়াদে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭-এর কাছাকাছি থাকবে। আমাদের গুদামে দুই বিলিয়ন চাল আছে। মাঠে আমন আছে। বাম্পার ফলন হবে। সবজির উৎপাদন গত কয়েক বছরে ৬ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশি ফলের পাশাপাশি ড্রাগনসহ বিদেশি ফলের উৎপাদন ব্যাপক বেড়েছে। গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস, মুরগি, ডিম, দুধ— সব কিছুর উৎপাদন বেড়েছে। তিনি আরও বলেন, সরবরাহ ভালো আছে। আমাদের রেমিট্যান্স ভালোর দিকে মোড় নিচ্ছে। আগামীতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে।