জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডে বিপর্যয়ের কারণ ম্যানেজমেন্টের ব্যর্থতা। যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের জন্য দায়ী, ইতোমধ্যে তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। শীঘ্রই তাদের চাকরিচ্যুত করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ৷
শনিবার(১৫ অক্টোবর) কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘বাধন সোসাইটি’ আয়োজিত আলোচনা সভা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন জায়গায় লোডশেডিং হচ্ছে। গ্রিড বিপর্যয়ের পর পশ্চিমাঞ্চলের বিদ্যুৎ পূর্বাঞ্চলে আসছে না। তাই লোডশেডিং বেড়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগবে। আমরা আশা করেছিলাম, হয়ত এ মাসে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে কিন্তু গ্রিড বিপর্যয়ের পর তা এখনো নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
দ্রুত ঢাকা ও পশ্চিমাঞ্চলের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আমরা কাজ করছি উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা আশাবাদী, এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে ঢাকা ও আশপাশের এলাকাগুলোকে লোডশেডিং মুক্ত করতে পারব।
এ সময় জানতে চাওয়া হলে–তেলের দাম কমবে কি না- এর জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান বিশ্বে যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে তাতে জ্বালানি তেল পাওয়া যায় কি না- সেটাই প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে যেখান থেকে তেল সংগ্রহ করা হয় তাদের ওপর নির্ভর করছে তেলের দাম কমবে কি না। গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত এখনো আসেনি। পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সরকার শীঘ্রই কেরানীগঞ্জে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম চালু করবে বলেও জানান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী।
কেরানীগঞ্জের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাঠের চারপাশে বৃক্ষরোপণ করতে বাধন সোসাইটির প্রতি আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সহধর্মিণী ও বাধন সোসাইটির চেয়ারম্যান সীমা হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান, বাধন সোসাইটির মহাসচিব রাজা মারুফ নেওয়াজ, শুভাঢ্যা ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন, চুনকুটিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. আসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।