নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ। দেশের রাজনীতির প্রধান দুই অক্ষশক্তি আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রায় প্রতিদিনই রাখছে নানাবিধ কর্মসূচি। এতদিন কেন্দ্রীয় পর্যায়ে এমন কর্মসূচির ঘোষণা এলেও, এবার তাতে যোগ দিতে চলেছে অঙ্গসংগঠনগুলো।
আগামী ১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রসমাবেশ করতে যাচ্ছে ছাত্রলীগ। এই সমাবেশে সারা দেশ থেকে পাঁচ লাখের বেশি শিক্ষার্থীকে জড়ো করার পরিকল্পনা করছে সরকারের এই অঙ্গসংগঠনটি।
গতকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। সাদ্দাম ছাত্রসমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন।
আরও পড়ুন: ওবায়দুল কাদের পদ হারানোর ভয়ে মানসিক অসুস্থতায় ভুগছেন: রিজভী
ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মরণে ওই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলেছে ছাত্রলীগ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সসম্মেলনের ঘোষণা দিয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আগেও এ দেশে বহু সভা-সমাবেশ, জমায়েত অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু শুধু শিক্ষার্থী বন্ধুদের নিয়ে এত বড় সভা আগে আয়োজিত হয়নি। এ কারণে আমরা বলছি, আগামী পয়লা সেপ্টেম্বরের ছাত্র সমাবেশ হবে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ ছাত্র সমাবেশ, যেখানে সারা দেশ থেকে প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী বন্ধু, তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হবেন।’
বঙ্গবন্ধুর স্মরণে সমাবেশের ডাক দিলেও ১ সেপ্টেম্বরের এই ছাত্র সমাবেশকে বিএনপি-জামায়াতের জন্য একটি আলটিমেটাম হিসেবে দেখছে ছাত্রলীগ। ছাত্র সমাবেশ থেকে দেশের শিক্ষার্থী বন্ধুরা, তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিরা দেশবিরোধী এই অপশক্তির বিরুদ্ধে নিজেদের চূড়ান্ত অনাস্থা জানাবে বলেছে ছাত্রলীগ। ছাত্র সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা শেখ হাসিনাকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় উপহার দেওয়ার শপথ নেবে বলেও জানানো হয়।
১ সেপ্টেম্বর বেলা ৩টায় ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই ছাত্র সমাবেশ হবে বলে জানান ছাত্রলীগ সভাপতি। প্রথমে ৩১ আগস্ট এই সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হলেও কর্মদিবস এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি এড়াতে তা এক দিন পিছিয়ে ১ সেপ্টেম্বর করেছে ছাত্রলীগ।