জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার সরকারের অভিযান অব্যাহত রাখবে বলে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণকে অপশক্তির বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এই বিষয়ে আপনাদের সকলকেও সতর্ক থাকতে হবে।’
শনিবার কোটালীপাড়া উপজেলার ভাঙ্গার হাটস্থ টিটি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক বিশাল জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সন্তানরা যাতে মাদক ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হয় সেজন্য তিনি সকল অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে বলেন।
কোটালীপাড়া উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ভবেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আ.লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী কোটালীপাড়ায় ৪৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং আরও পাঁচটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে একই স্কেলে তুলনা করার বিষয়ে প্রবল আপত্তি করে তিনি বলেন, কেউ কেউ আওয়ামী লীগকে বিএনপির সঙ্গে তুলনা করেন, আবার কেউ বলেন বড় দুই দল।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি ও তার ২০ দলীয় জোট ৩০০ আসনের মধ্যে মাত্র ৩০টি আসন পেয়েছিল এবং বাকি আসনে আওয়ামী নেতৃত্বাধীন মহাজোট জয়লাভ করেছিল।
তিনি প্রশ্ন করেন, ‘তাহলে কিভাবে এই দুই দল এক হতে পারে?’
তিনি বলেন, বিএনপি শাসনামলে দেশ জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, গ্রেনেড হামলা, ৫০০ জায়গায় বোমা হামলা ও পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, ‘তারা মানুষকে কিছুই দেয়নি, তারা শুধু জনগণের অর্থ লুট করেছে।’
তিনি বলেন, বিএনপি নিজেদের দলের গঠনতন্ত্রও মানে না।
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীরা দলকে নেতৃত্ব দিতে পারে না।
তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘বিএনপি একজন নেতাও কি পায় না যে অন্তত সাজাপ্রাপ্ত আসামি নন?’
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ও তার ছেলের নেতৃত্বে বিএনপি চলছে, দুজনেই সাজাপ্রাপ্ত আসামি।
তিনি বলেন, ‘যারা নিজের দলের গঠনতন্ত্র মানে না, নিয়ম মানে না, আইন মানে না, সেই দলের সঙ্গে কীভাবে আওয়ামী লীগের তুলনা চলে।’
তিনি বলেন, যারা ওই ‘বড় দুই দল’ বলেন, তারা ভুল করেন।