গত কয়েকদিন আগে ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার সময় বাধা দিতে গিয়ে আহত হন এক পুলিশ কনস্টেবল। এ ঘটনায় তাকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার সঙ্গে আরও এক কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত সাত পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হলো।
রবিবার(২৭ নভেম্বর) কনস্টেবল নুরে আজাদকে বরখাস্ত করার কথা জানিয়েছেন ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার জসিম উদ্দিন। বরখাস্ত হওয়া আজাদ ডিএমপির প্রসিকিউশন রিজার্ভ ইউনিটের সদস্য ছিলেন।
এর আগে পাঁচ পুলিশ সদস্যকে বরখাস্তের কথা জানানো হয়েছিল। তারা হলেন- ঢাকার কোর্ট ইন্সপেক্টর মতিউর রহমান, হাজতখানার ইনচার্জ এসআই নাহিদুর রহমান, আসামিদের আদালতে নেওয়ার দায়িত্বে থাকা পুলিশের এটিএসআই মহিউদ্দিন, কনস্টেবল শরিফুল হাসান ও কনস্টেবল আব্দুস সাত্তার।
তাদের সঙ্গে কনস্টেবল নূরে আজাদ ও কনস্টেবল জয়নাল যোগ হলেন।
২০ নভেম্বর দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশকে মারধর করে তাদের চোখে-মুখে পিপার স্প্রে করে প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি সুনামগঞ্জের ছাতকের মইনুল হাসান শামীম ও লালমনিরহাটের আদিতমারীর আবু ছিদ্দিক সোহেলকে ছিনতাই করে নিয়ে যায় তাদের সহযোগী জঙ্গিরা।
ঘটনাটি নিয়ে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পলাতক দুই জঙ্গিকে ধরিয়ে দিলে ১০ লাখ করে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে পুলিশ।
জঙ্গি পলায়নের ঘটনায় সারা দেশে জারি করা হয়েছে ‘রেড অ্যালার্ট’। দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটি মামলাও করেছে পুলিশ।
মামলায় পর রবিবার রাতেই ১০ আসামিকে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।