স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, জাতিকে ‘সুষ্ঠু নির্বাচন’ উপহার দেওয়ার জন্য তৈরি থাকতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার(২৬ জানুয়ারি) তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের শেষ দিনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত আলোচনা শেষে ব্রিফিংকালে নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
জাতীয় নির্বাচনের আগে এটাই শেষ ডিসি সম্মেলন। তাই ডিসিদের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বস্তুত সেই সময়ে (নির্বাচনের সময়) তাঁদের (মন্ত্রণালয়) করণীয় কিছুই থাকবে না। মন্ত্রণালয়গুলো শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। মূল দায়িত্বে থাকবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এবং ইসির কাছেই পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ডসহ যারা আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকবেন।
তিনি বলেন, সে জন্য আমরা সেই সম্পর্কে বলেছি, একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেশবাসী চাচ্ছেন। সারা বিশ্বও সেভাবে তাকিয়ে আছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আপনাদের (ডিসি) ভূমিকা প্রাধান্য পাবে, মুখ্য হবে। সেই জন্য আপনারা নিজেরা তৈরি থাকুন, যাতে জাতিকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারেন। এই ছিল কথা।
এ সময় সারাদেশে মাদক নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আলোচনার কথা জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি তাঁদের কাছে একটি চ্যালেঞ্জ। মাদকের ভয়াবহতা সবাই উপলব্ধি করতে পেরেছেন। এ জন্য তিন ভাগে ভাগ করে তাঁরা কাজ করছেন। প্রথমত, চাহিদা হ্রাস করতে হবে। এ জন্য ডিসিদের মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, স্কুল, কলেজ, মসজিদ ও মাদ্রাসা সব জায়গায় যেন জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে তাঁরা খেয়াল রাখেন এবং এই চাহিদা কমানোর উপায় বের করেন। যদি মাদক নির্মূলে ব্যর্থ হন তাহলে ২০৩০, ২০৪১ সালের যে স্বপ্ন, তা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।
মাদক নিয়ন্ত্রণে ডিসিদের পক্ষ থেকে প্রস্তাব ছিল, সীমান্তের আট কিলোমিটারের বাইরে বিজিবি সদস্যের মাধ্যমে গুলির ঘটনা ঘটলে তা নির্বাহী তদন্তের মাধ্যমে যৌক্তিকতা যাচাই করা।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এ বিষয়ে জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব উত্তর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই প্রস্তাব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের তফসিলে কয়েকটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে ডিসিদের প্রস্তাব নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সবগুলোর বিষয়েই জ্যেষ্ঠসচিব জানিয়েছেন যত প্রস্তাব এসেছে, তা পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেবেন।
