চলতি অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতে এবার বাজেটে খরচের লাগাম টানা হচ্ছে। প্রতি বছর গড়ে ১২ থেকে ১৫ শতাংশ আকার বাড়ানো হলেও এবার মাত্র সাড়ে ৪ শতাংশ বাড়িয়ে উপস্থাপন করা হবে বাজেট।
টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। গত জুনে চলতি অর্থবছরের জন্য যে বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছিল তার থেকে এই বাজেট মাত্র ৪ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি।
আগামী বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি পূরণে অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে ঋণের অঙ্ক বাড়ানো হচ্ছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, আয়- ব্যয়ের সে হিসাব বাজেটে দেওয়া হয় তার কোনোটাই লক্ষ্য পূরণ হয় না। প্রতি অর্থবছর শুরুতে যে বাজেট দেওয়া হয়, ৯ মাস শেষে একবার সংশোধন করা হয়। কিন্তু অর্থবছর শেষে দেখা যায়, বাস্তবায়নের হার আরও কম। গত তিন বছর ধরে ঘোষিত বাজেটের চেয়ে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা কম ব্যয় হচ্ছে।
অর্থ বিভাগের গত এক দশকের তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী, প্রতি বারই বাজেট বাস্তবায়ন হচ্ছে গড়ে ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ।
এবারের বাজেট বক্তব্যের শিরোনাম করা হয়েছে ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’।
অর্থমন্ত্রী হিসেবে আবুল হাসান মাহমুদ আলীর এটি হবে প্রথম বাজেট ঘোষণা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের বাজেট।
আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করা হবে। পুরো জুন জুড়েই থাকবে আলোচনায়। আর শেষে বাজেট পাশ হওয়ার পর জুলাই থেকে শুরু হবে বাস্তবায়ন।