টি-টোয়েন্টি সিরিজে জিম্বাবুয়ের কাছে হারের পর নিজেদের বিধ্বস্ত দশা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি টাইগাররা। তাই ওয়ানডে সিরিজেও স্বাগতিকদের বিরুদ্ধে পাত্তা পেলো না বাংলাদেশ।
৩০৩ রানের বড় পুঁজিতেও বল হাতে দুর্বলতা প্রকাশ হলো তামিদের৷
হারারেতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ ৩০৩ রানের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করে।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮১ রান করেন লিটন দাস, যাকে ইঞ্জুরির কারণে মাঠ ছাড়তে হয়। দীর্ঘবিরতি কাটিয়ে দলে ফেরা এনামুল হক বিজয় ৭৩, অধিনায়ক তামিম ইকবাল ৬২ ও মুশফিকুর রহিম ৫২ (অপরাজিত) রান করেন।
৩০৩ রানের লক্ষমাত্রার নিয়ে খেলতে নেমে প্রথম ওভারেই অধিনায়ক রেজিস চাকাভাকে হারায় জিম্বাবুয়ে। আরেক ওপেনার তারিসাই মুসাকান্দা দলীয় ৬ রানে ফিরে যান সাজঘরে। ১৯ রানের পর ওয়েসলে মেধেভেরেকেও ফেরত পাঠান তামিমরা।
ইনোসেন্ট কাইয়া ও সিকান্দার রাজার হাত ধরে জয়ের পথে একধাপ এগিয়ে যায় স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। চতুর্থ উইকেটে দুজনে গড়েন ১৯২ রানের এক বড়রকমের জুটি।
১২২ বলে ১১০ রান করে কাইয়া মাঠ ছাড়লেও রাজা দলকে পথ একধারায় এগিয়ে নেন।
লুক জংওয়েকে নিয়ে সিকান্দার রাজা শেষদিকে নিজের জাত চিনিয়ে দিলেন। বাংলাদেশের বোলারদের জংওয়েও খেলেছেন। ১৯ বলে ২৪ রান করে তিনি বিদায় নিলেও রাজা টাইগারদের নাস্তানাবুদ করে একেবারে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়লেন। ১০৯ বলে ৮টি চার ও ৬টি ছক্কা হাঁকিয়ে ১৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন টি-টোয়েন্টি সিরিজের এই সেরা খেলোয়াড়।
১০ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশকে দিলেন আরেক হারের লজ্জা।