প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিযোগ করে বলেছেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে অত্যাচার করেছে, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে একইভাবে দেশের মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জনগণের উন্নয়ন করাই আমাদের লক্ষ্য। অথচ, বিএনপি কী করেছে। বাংলাদেশের এমন কোনো জায়গা নেই তারা অত্যাচার নির্যাতন করেনি। একইসঙ্গে মা-মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। বিএনপির অত্যাচার-সন্ত্রাসের কারণে মানুষ শান্তিতে থাকতে পারেনি।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার অভিযোগ এনে সরকার প্রধান বলেন, আমাদের নেতাকর্মী, মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রীদের হত্যা করল। এমন জঘন্য কাজ বিএনপি-জামায়াত করতে পারে, যা কল্পনাও করা যায় না’।
আজ শনিবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন
সরকারপ্রধান বলেন,জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান, তারা সবাই খুনি। তাদের কী অধিকার আছে দেশে রাজনীতি করার? তারপরও আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া সাজাপ্রাপ্ত আসামি, এটা প্রমাণিত। তারেকের বিরুদ্ধে এফবিআই সাক্ষী দিয়ে গেছে। এরা মানুষের কল্যাণে কী কাজ করবে?
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া জনগণের ভোট চুরি করেছিল। কিন্তু জনগণ সেটা মেনে নেয়নি। আমাদের নারীদের ওপর অজস্র অত্যাচার তারা করেছিল। কই আমরা তো তাদের মেয়েদের কোনো অত্যাচার-নির্যাতন করছি না। তারা রাস্তায় স্লোগান দিচ্ছে, মাঠে নামছে। আমরা তাদের কোনো বাধা দিচ্ছি না। কিন্তু আমাদের ওপর যেই অত্যাচার করেছে সেটা ভুলব কীভাবে? জীবন্ত মানুষকে তারা পুড়িয়ে মেরেছে। এটা কি মানুষের কাজ?’
আওয়ামী লীগের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি বলেন, আমরা সন্ত্রাস চাই না। আমরা জনগণ ও দেশের কল্যাণে কাজ করছি। আমরা দেশের মানুষের কল্যাণ চাই, এটাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা সেইভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ‘জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল তৈরি করা হবে’। ‘প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ আছে। প্রতিটি পরিবারে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের হিসেব করেই ঘর দেওয়া হয়েছে। নারীরা সব ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে’
এর আগে সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা সম্মেলনস্থলে সমবেত হন। নারী নেত্রীদের ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকা।
উদ্বোধনী অধিবেশন শেষে কাউন্সিল অধিবেশনে সংগঠনের শীর্ষ দুই নেত্রী নির্বাচন করা হবে। কাউন্সিলররা নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষমতা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ওপর অর্পণ করবেন। একইসঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের কমিটিও ঘোষণা করা হতে পারে