পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জ্ঞান অর্জন করা কঠিন কিন্তু এর ফল খুব মিষ্টি। তাই নতুন প্রজন্মকে জ্ঞান চর্চার পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে লাইব্রেরির বড় অভাব, এক্ষেত্রে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার গণগ্রন্থাগারটি এলাকায় জ্ঞানের আলো ছড়াবে।
শুক্রবার সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সদরখলা এলাকায় দক্ষিণ সুরমা গণগ্রন্থাগারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এই সব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দক্ষিণ সুরমা গণগ্রন্থাগারের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ, বইয়ের সংগ্রহ বৃদ্ধি করাসহ ডিজিটাল ফরম্যাটে বই সংরক্ষণের পরামর্শ দেন এবং প্রয়োজনে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দেন।
ড. মোমেন বলেন, সিলেটের উন্নয়ন তথা বাংলাদেশের উন্নয়নে গণগ্রন্থাগারের প্রতিষ্ঠাতা নুরুল ইসলাম আজীবন কাজ করে গেছেন এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে তার অনেক অবদান রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরে নুরুল ইসলাম তার বন্ধু প্রয়াত সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছেন। বিশেষ করে দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে এবং প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান ও প্রবাসীদের দাবি আদায়ে কাজ করেছেন নুরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, দক্ষিণ সুরমার উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত লায়লা নীরা ও সীমান্তিক’র প্রতিষ্ঠাতা ড. আহমদ আল কবির।
দক্ষিণ সুরমা গণগ্রন্থাগার ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম নুরুল ইসলামের সহধর্মিণী নার্গিস ইসলামের সভাপতিত্বে ও নূরুল ইসলামের মেয়ে মনজেরীন রশিদের পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ।