ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু পৌর এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ডের শুড়া গ্রামে দুর্বৃত্তের গুলিতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহসভাপতি শামিম হোসেন মিয়া (৫৩) মারা গেছেন। সাবেক সেনা সদস্য শামিম ওই গ্রামের গোলাম রসুল নান্টুর ছেলে
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ির সামনে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
গ্রামবাসীর বরাতে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আল আমিন জানান, বৃহস্পতিবার এশার নামাজ পড়ে তিনি বাড়ির সামনে একটি সাঁকোর কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাকে সেখান থেকে ধরে খালের ওপারে নিয়ে বুকে গুলি করে হত্যা করে। খবর পেয়ে স্বজনরা শামিমকে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জামিনুর রশিদ জানান, শামিম ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছিলেন। হাসপাতালে মৃত অবস্থায় তাকে আনা হয়। ঝিনাইদহ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ইমরান জাকারিয়া জানান, একজনকে গুলি করে হত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছি। সেখানে পৌঁছে বিস্তারিত জানাতে পারব।
নিহত শামিম ২০২২ সালের ৩১ আগস্ট ফেসবুক লাইভে এসে হরিণাকুণ্ডুর সাবেক ওসি সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করে আলোচনায় আসেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে ওসি তুই তুকারি করেছে। তিনি আমাকে গ্রেপ্তার করতে পারেন, কিন্তু এমন ব্যবহার করতে পারেন না। আমার মামা ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত। ভগ্নিপতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রটোকল অফিসার। তবুও আমি এই পরিচয় কাউকে দিয়ে চলি না।’
হরিণাকুণ্ডু পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র ফারুক হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি এই হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রকৃত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি করছি।