বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড ও টেলিটকের এমডি এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের সাবেক কমিশনারসহ দুই প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে সহজ শর্তে জাইকার ১৬৪ কোটি ৫২ লাখ টাকার ঋণ থেকে সরকারকে বঞ্চিত করার অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এ বিষয়ে দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের সাবেক কমিশনার আমিনুল হাসান, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিটিসিএলের সাবেক পরিচালক-১ মশিউর রহমান, বিটিসিএলের টিএনডি প্রকল্পের সাবেক ডিই-৫ মো. আতাউর রহমান, টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহাব উদ্দিন, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেডের বর্তমান মহাব্যবস্থাপক ও বিটিসিএলের সাবেক পরিচালক মো. আজম আলী, বিটিসিএলের সাবেক পরিচালক মাকসুদুর রহমান আকন্দ, বিটিসিএলের বর্তমান প্রকল্প পরিচালক অশোক কুমার মন্ডল এবং বিটিসিএলের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহফুজ উদ্দিন আহমদ।
আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ৪৬৮, ৪৭১, ৫১১, ১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহারে সরকারকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন।
আসামিরা টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক ডেভেলপমেন্ট (টিএনডি) প্রজেক্ট টেন্ডার প্রক্রিয়ায় সর্বনিম্ন দরদাতাকে বাদ দিয়ে নিজেদের পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে কাজ করেছেন।
এ কাজে তারা প্রাকযোগ্যতা মূল্যায়নের নির্ণায়ক পরিবর্তন, মূল দরপত্র আহ্বানের দুই মাস পর প্রাক্কলন নির্ধারণসহ ক্রয় আইন-বিধি ও জাইকার গাইডলাইন অনুসরণ না করে অহেতুক কালক্ষেপণ করেছেন।
যে কারণে আগ্রহ হারিয়ে ২০১৫ সালের ৭ মে মাত্র ০.০১ শতাংশ সহজ শর্তের সুদে ১৬৪ কোটি ৫২ লাখ ১৫ হাজার টাকার ঋণ-প্রস্তাব ফেরত নিয়ে যায় দাতা সংস্থা জাইকা।
এর মাধ্যমে দেশকে বড় একটি ঋণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে এবং দেশের আর্থিক ক্ষতিসাধন করা হয়েছে।