পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, একটা ব্যাপার আমাদের কাছে তাজ্জব লেগেছে জেনেশুনে নিষেধাজ্ঞা আছে—এমন জাহাজের নাম পরিবর্তন করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের পণ্য পাঠিয়েছে রাশিয়া। আমরা এটি আশা করিনি।
রবিবার(২২ জানুয়ারি) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আব্দুল মোমেন এমনটা জানান। তিনি বলেন, আমরা আশা করি, রাশিয়া এখন নিষেধাজ্ঞা নেই এমন একটি জাহাজে পণ্যগুলো পাঠাবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাশিয়ার ৬৯টি জাহাজ যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে। এর বাইরে তাদের কয়েক হাজার জাহাজ আছে।
তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের ভালো সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে। আমরা রাশিয়াকে বলেছি, তাদের যেসব জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে, সেগুলো ছাড়া অন্য যেকোনো জাহাজে পাঠাতে পারে। নিষেধাজ্ঞা আছে, এমন জাহাজ আমরা গ্রহণ করতে চাই না।
রাশিয়া ‘উরসা মেজর’ নামের মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় থাকা একটি জাহাজে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জাম পাঠিয়েছিল।
গত ২৪ ডিসেম্বর রাশিয়ার পতাকাবাহী এ জাহাজটি মোংলা বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। তার আগেই ২০ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে জানানো হয়, জাহাজটি আসলে ‘উরসা মেজর’ নয়—এটি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা ‘স্পার্টা-৩’ জাহাজ।
বাংলাদেশ পরবর্তীতে বিষয়টি যাচাই করে সত্যতা নিশ্চিত হলে পরে জাহাজটিকে বন্দরে ভিড়তে নিষেধ করে দেয়। নিষেধাজ্ঞার মুখে জাহাজটি পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দরে গিয়ে সরঞ্জাম খালাসের চেষ্টা করলেও নয়াদিল্লির অনুমতি পেতে ব্যর্থ হয়।
এ অবস্থায় ১৬ জানুয়ারি ভারতের জলসীমা ছেড়ে যায় জাহাজটি। বর্তমানে এটি চীনের একটি বন্দরের উদ্দেশ্যে অগ্রসর হচ্ছে বলে জানা গেছে৷